৷। একটি আন্তর্জাতিক শোক সংবাদ।।
জুয়েল সাদাত আমেরিকা থেকে- লন্ডন নামটার সাথে একটা স্বপ্ন জড়ানো ছিল এক সময়। তাদের দাপট ও ছিল দেখার মত।
একবার লন্ডন যেতে পারলে বেহেশতের কাছাকাছি যাওয়া যায় এরকম একটা ধারনা পোষন করতেন অনেকেই । কিভাবে যাওয়া যায়, সেটা সবাই জানেন। রেস্টুরেন্টের কঠিন কাজ, বিয়ে করে গিয়ে ডিভোর্স, অটিজমের ক্যাপিট্যাল, সব জানতে তিনবার ভ্রমন করে দেখার সুযোগ হয়েছে। কোন কিছু মেলানো যায় না। যাদের কথা বলার চেষ্টা করছি, তারা সবাই আমার আত্বীয স্বজন,বন্ধু বান্ধব, পরিচিতজনরাই।
আজ তাদের জীবনে মৃত্যুর মিছিল। আজ সিলেট বিভাগের সেই প্রবাসীদের জন্য কেউ হাত তুলে দোয়া করেনা, করছেন না।আ
মরা ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে
আওয়ামীলীগের কমিটিতে থাকার প্রশান্তিতে। মেয়র, কাউন্সিলর,চেয়ারম্যান হবার দৌড়ে।
সারা সিলেটের সব ( বেশীর ভাগ) মসজিদ মাদ্রাসা,ইদগাহ, স্কুল সব কিছুতেই লন্ডনের অবদান ছিল, আছে।
জাতীয় ভাবে রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় জোগান লন্ডন থেকে আসে।অ
র্থমন্ত্রিরা বলেন, বাংলাদেশ টিকে আছে বিদেশী রেমিটেন্সে। অথচ আজ লন্ডনসহ সব প্রবাসীরা কঠিন সময়ে। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ, আজ থেকে ৩০/৪৫ দিন পর ৫ লাখ হবে। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের কথা বললে, চোখের পানি ধরে রাখা যাবেনা।
জাতীয় ভাবে কোন দোয়া-দুরুদ নাই।
প্রসঙ্গ (লন্ডন)
গত ৬ মাসে লন্ডনের জনসংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ। তারা মারা যান নাই, লন্ডন ছেড়ে চলে গেছেন। আর ফিরবেনও না। কারন আগামি এক বছরে বৃটেন জুড়ে হাহাকার দেখা দিবে। মহামারি, দেওলিয়া, যারা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী দেশকে ডমিনেট করত। তারা দেউলিয়া হ্চ্ছে। শোষন করেছিল, তাদের করুন অবস্থা দেখছি।
৬ কোটি ৭৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। বিশ্বের নানান জায়গায় তাদের আধিপত্ত আজও।
কেন হল?
সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত।
রেস্টুরেন্টে উপচে পড়া ভিড়, হাফ প্রাইসে বাহিরে খাওয়া। স্কুল খুলে দেওয়া অনেকাংশে দায়ী।
আবার অনেকে রেন্টুরেন্টের লোন নিয়ে দেশে গেছেন নির্বাচন করতে। কারন লোনটা তিনি মেরে দিতে পারবেন। নানান মিথ্যা কাগজ বানিয়ে, প্রনোদনার টাকা মেরে দিচ্ছেন। মৃত্যুর ভয় নাই। সেই টাকার মালিক পুরো বৃটিশ জাতির কাছে মৃত্যুর পরে জানাজার আগে , ছেলে বলবে কে কে পাওনা পান আমি দেব। তখন সে কিভাবে বাপের ঋন মারবে?
একশ্রেনী বাঁচার জন্য্ যে কোন কিছুর বিনিময়ে আল্লাহর করুনা চাচ্ছেন, অপর শ্রেনী টাকা বানানোর ধান্ধায়।
আজ সবাই ছুটেছেন বাংলাদেশে। সেখানে সরকার না আটকালে লন্ডনের অর্ধেক ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ত।
আজ লন্ডনের আকাশে লাশের মাতম। মিনিটে ১ জন মারা যাচ্ছেন। দাফনের লম্বা লাইন। পরিচিত অনেকেই দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন, তারপরও দান খয়রাত করছেন না। সদকা করার জন্য্ বলি সবাইকে।
কঠিন সময়ে,সবচেয়ে বুদ্ধিমান দেশটিতে হাসপাতালে সিট নাই, এম্বুলেন্স সেবা চলছে। প্রতিদিন শ খানেক প্রবাসী লন্ডনে মারা যাচ্ছেন।
কাচের আয়নায়, বাসার জানালায় বাহির থেকে সন্তান পিতা মাতাকে দেখে। ছোট বাসা বাড়িতে কোরাইন্টাইন করা কতটা কষ্টের অনেকেই চিন্তা করতে পারবেন না।
সবাই দোয়া করি লন্ডনিদের জন্য্।
তাদের নিকট অনেক ঋন আমাদের।
স্টুডেন্ট ভিসা সহজ করেছে,এটার জন্য এক সময় দেশের স্টুডেন্টরা স্বপ্ন দেখতেন।।আজ কে আসবে মৃত শহরে পড়তে।
চলবে
লেখক- সম্পাদক প্রবাসের নিউজ
এর আর বি স্পিকার
Leave a Reply