ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছেন এক কিশোর। বুধবার রাত ১০ টায় দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী ফজলু মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই কিশোর হচ্ছেন আলহাজ উদ্দিন (১৮)। তিনি জকিগঞ্জের মানিকপুর ইউনিয়নের দরগা বাহারপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। সিলেট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, আলহাজ উদ্দিনের সাথে নুসরাত পূর্ণতা নামে এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বেশ কয়েকদিন ধরে সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিলো। এর রেশ ধরেই বুধবার রাতে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে গত ৩১ অক্টোবর তোলা তার এবং নুসরাতের একটি অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেন আলহাজ। ক্যাপশনে লিখেন ‘কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তারা অনেক স্বার্থপর হয় প্রিয় মানুষটার বিষয়ে। সব কিছু দিয়ে তাদের পেতে চায়। আর আমি কোনো ভাবে পাইনি। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসো না, ঠকে যাবে’। এর পরপরই রাত আনুমানিক পৌণে ৮টায় ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। আলমপুরের ফজলু মিয়ার কলোনির ভাড়া বাসার শয়নকক্ষে সিলিংয়ের সাথে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রাত ৯টার দিকে। তিনি যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন তখন রুমে থাকা সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজছিলো। আলহাজের আত্মহত্যার লাইভ ভিডিও অর্ধশতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী সরাসরি দেখেছেন। তবে তাৎক্ষণিক ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মোগলাবাজার থানা পুলিশ। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাহাবুল ইসলাম। আলহাজের বাবা এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ওসি ছাহাবুল ইসলাম।
Leave a Reply