কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। তার মৃত্যুর পর দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মৃতদেহ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ‘গভর্নমেন্ট হাউসে’।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এতথ্য জানিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ম্যারাডোনা। পরিবার থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মস্তিস্কে। একটু সুস্থ হতেই ফের বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়িতেই বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবলের অমর জাদুকর।
আর্জেন্টিনা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ বলেন, এটা ভয়ানক সংবাদ। এই সংবাদ সহ্য করা কঠিন। আর্জেন্টিনার পরিচয়ের জন্য তিনি অনেক কিছুই করেছেন। আপনি বিশ্বের যেখানেই যাবেন, যদি বলেন আর্জেন্টিনা থেকে এসেছেন, তারা বলবে, ‘ও ম্যারাডোনা’।আর্জেন্টিার প্রতিশব্দ ম্যারাডোনা।
ম্যরাডোনার শেষকৃত্য নিয়ে তিনি বলেন, ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরিবার যেভাবে চায়, সেভাবেই সব হবে।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ বলেন, ভুলে গেলে চলবে না আমরা মহামারি মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের সংগঠিত হতে হবে। গভর্নমেন্ট হাউসে তার শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করতে যাচ্ছি, যাতে সেখানে লাখ লাখ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মনোমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল এই বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।
১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি জেতাতে পারেননি।
Leave a Reply