নাইজেরিয়ার ধানক্ষেতে কাজ করার সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্তত ১১০ কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। মোটরসাইকেলে করে এসে জঙ্গিরা কৃষকদের হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। প্রথমে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। পরে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়ায়। এটিকে বেসামরিক লোকজনের ওপর ২০২০ সালের সবচেয়ে বড় নৃশংস হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। খবর আলজাজিরার।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্ন রাজ্যের মাইদুগুরি শহরের কাছে কোশোবো ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু বুহারি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নির্বোধ এই হত্যাকাণ্ডে পুরো দেশ আহত হয়েছে।
মিলিশিয়া নেতা বাবাকুরা কোলো জানান, তারা ১১০ লাশ উদ্ধার করেছেন। সবাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছে।
তবে জাতিসংঘ বলছে, এ ঘটনায় ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
জিহাদবিরোধী মিলিশিয়া এ নেতা জানান, খুনিরা কৃষি শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে।
নাইজেরিয়া জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়ক অ্যাডওয়ার্ড ক্যালন বলেন, বেসামরিক নারী-পুরুষরা ক্ষেতে কৃষিকাজ করছিল। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী মোটরসাইকেলে করে এসে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১১০ বেসামরিক নারী-পুরুষ হত্যার শিকার হন। এ সময় বেশ কয়েকজন নারীকে তুলে নিয়ে গেছে জঙ্গিরা।
অপর এক মিলিশিয়া ইব্রাহিম লিমান জানান, নিহত এসব শ্রমিক প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরের সোকাতো রাজ্য থেকে কাজের খোঁজে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আসে।
এই হামলার দায় কেউ নেয়নি। তবে আফ্রিকার এই দেশটিতে বোকো হারাম ও আইএসডব্লিওএপি আইএস সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মিলিশিয়াদের কাছে তথ্য পাচার ও গুপ্তচর কাজে নিয়োজিত রয়েছে এমন সন্দেহে রাখাল, কৃষকদের টার্গেট করে তাদের হত্যা করে বোকো হারাম।
গত মাসেও পৃথক দুটি ঘটনায় বোকো হারাম জমিতে সেচ দেয়ার কাজে নিয়োজিত ২২ কৃষি শ্রমিককে হত্যা করে।
Leave a Reply