সিলেট বিভাগে এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছেই। গত এক বছরে নতুন করে বিভাগের চার জেলায় ৪৫ জন সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশ ফেরত। রয়েছে শিশু এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে সিলেটে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে সিলেটে এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৬ জন এর মধ্যে মারা গেছেন ৪১২ জন। বাকীদের মধ্যে ৫২৯ জন সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মৌলভী বাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। সরকারী অর্থায়ানে এ রোগীদের মধ্যে ঔষধ এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাপসাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে এখনও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক ০১ শতাংশের নিচে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। যা আগে ২৫ শতাংশের উপরে ছিল।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যপক নাসরিন আক্তার জানান, চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় এইচআইভি আক্রান্ত অনেক মা এইচআইভি মুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এপর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের ৬০ জন এইচআইভি আক্রান্ত মা “মাহতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ” কার্যক্রমের আওতায় এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু অভিবাসী অধ্যূষিত এলাকা তাই এখানে এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রমের আঙ্গীক একটু ভিন্ন রকমের হতে হবে। প্রয়োজনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার মতো বিমান বন্দর সমূহে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a Reply