পৃথিবীতে যতো আদম সন্তান জন্ম নিয়েছেন নিজের মাতৃভূমিকে ভালোবাসেনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। প্রত্যেকেই নিজের জন্মভূমি নিয়ে গর্ব করে, অহংকার করে। প্রিয় স্বদেশ ভৌগলিক অবস্থানের দিকে দিয়ে যেমনই হউক নিজের জন্মভূমির কথায় আপোষ নেই কারো সাথে,আকার-আয়তন পরিধি জনসংখ্যা এমন কি অর্থনৈতিক অবস্থানের দিক দিয়েও যদি স্বচ্ছল না হয় তবুও ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেকেই স্বজন্ম স্থানকে সবার উপরেই রাখতে চায়,রাখে। দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেও পৃথিবীর সব দেশ বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখে,আর এই স্বপ্ন দেখাটা অমূলক নয়, মায়ের প্রতি গভীর মমত্ববোধেরই বহিঃপ্রকাশ। নিজের জন্মভূমিকে ভালোবেসেই পৃথিবীর সব ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ইতিহাসে রচনা করে নিজের জন্মস্থানের অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেছেন।
নিজের জন্মভূমির যদি থাকে গর্ব করার মতো ইতিহাস গড়া সাফল্য, বীরত্ব গাঁথা জন্ম ইতিহাস, ধন-সম্পদ, প্রাচুর্য তবে সেই তীর্থস্থানে জন্ম নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে গৌরব করাটা আত্ম নির্ভরশীলতা কিংবা আত্মমর্যাদা।
আমরাও উন্নত শিরে গর্ববোধ করি এমন একটি দেশে জন্ম গ্রহণ করে যে দেশের রয়েছে বিশ্বজয় করা বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস,যে মাটির বুকে জন্ম নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মাটির বুকে শায়িত আছেন অকুতোভয় সেই মুক্তিসেনা যারা দেশের জন্ম হাসিমুখে প্রাণ বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি,কারো দয়া কিংবা দানে নয় রণক্ষেত্র থেকে প্রতিধারনের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিলো বিজয়ের রক্তিম লাল সূর্য, পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতা এনে দিতে উৎসর্গ করেছিলেন জীবন। গর্বে প্রাণ জুড়িয়ে যায় যখনই মনে হয় এমন একটি সবুজ শ্যামল দেশে আমি ভুমিষ্ট হয়েছি যে দেশের বীর সন্তানরা প্রিয় মাতৃভূমির জন্য, স্বাধীনতা আর একটি মানচিত্রের জন্য সমরের ময়দানে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।
বাংলা ভাষা, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বারবার শত্রু মোকাবেলা করে বিজয় অর্জনের ইতিহাস এই জাতির ভাগ্য ললাটে। ১৯৪৭সালে ইংরেজদের পরাজয়ের পর ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে যখন পাকিস্থান দুটি অংশ হয় আমরা তখন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হই। পাকিস্তান প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকেই মূলত পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠী বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উপর অমানুষিক নির্যাতন, অত্যাচার শুরু করে। পাকিস্তানী হানাদার, নরপিশাচদের জুলুম, অত্যাচার, দুঃশাসন, স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকট আকার ধারণ করায় তৎকালীন বাঙালী জনগোষ্ঠী অতিষ্ট হয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করে।বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবীতে সোচ্চার হতে থাকে বাংলা ভাষী মানুষ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও পাকিস্তানী শোষক উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই ” এই দাবীতে ছাত্র জনতার আন্দোলন আরও বেগবান হতে থাকে। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা এই দাবীর পুনরাবৃত্তি করলে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনকে সামনে রেখে ছাত্র জনতা তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে, পরবর্তীতে এই আন্দোলন আর ছাত্র সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি ছড়িয়ে পরে দেশব্যাপী।এই ভাষা আন্দোলনে হারাতে হয় রফিক,সালাম,বরকত,জব্বার,সফিকসহ নাম না জানা অনেকেই। তীব্র আন্দোলনের তোপের মুখে সরকার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়েই বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়,ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে ৬৬টির ছয় দফা আন্দোলন,৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন তথাপি ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের অনেক আগে থেকেই বাঙালী জাতির বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।অসীম সাহসী এই জাতি কখনো পরাজয়ের কাছে মাথা নত করেনি। পরাজয় মানতে জানেনা যে জাতি তাদের দাবিয়ে রাখার জন্য যুগে যুগে অনেক অপশক্তি,বহুজাতি-গোষ্ঠী অত্যাচার,নির্যাতন, জুলুম,শোষণ, নিপীড়ন, চক্রান্ত করেছিলো তবুও বাঙালী জাতিকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। বারবার চক্রান্ত করে সু্যােগ সন্ধানী হায়েনারা ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিলো বাঙালীদের কাছ থেকে আবার পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতেও হয়েছে সময়ের পরিবর্তনে।
ইতিহাসবেত্তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে বাঙালী জাতির উপর যুগে যুগে অনেক বিপর্যয় এসেছিলো ঠিকই কিন্ত তার স্থায়িত্ব খুব বেশি দিন ছিলোনা। জেল,জুলুম,নির্যাতন, অত্যাচার করে যারা বাঙালী জাতিকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিলো তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে বাঙলা থেকে, আর বাঙালী যোদ্ধা এবং বোদ্ধারা বীরদর্পে ইতিহাসে সাফল্য রচিত করে গেছেন। বাঙালী জাতির দেশ প্রেমের চেতনা,মনোবল,ঐক্য এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কাছে বারবার পরাজিত হয়েছে অত্যাচারী শাষক গোষ্ঠী। সব চক্রান্ত নৎসাত করে এ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব দরবারে। মোগল যুগ থেকে শুরু করে বৃটিশদের উপনিবেশিক শাসন,পাকিস্তানী হানাদারদের অত্যাচার,জুলুম দুঃশাসন কোনো কিছুর স্থায়িত্ব পায়নি বাঙালী জাতির অকৃত্রিম দেশ প্রেম,অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ঐক্য,সাম্য, সম্প্রতি আর নিঁখাদ ভ্রাতৃত্ববোধের কারণে। ইতিহাসে তাকালে একটি কথা প্রতীয়মান হয় এ জাতি কখনো অত্যাচারী, জুলুমবাজ, স্বৈরাচারদের তোয়াক্কা করেনি। সকল দুঃশাসন এর জবাব দিয়েছে অদম্য সাহসিকতার সাথে। এ জাতির অসীম সাহকিতা,ঐক্য, মমত্ববোধ, ক্ষমাশীলতা সর্বময় ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।
বীর জাতি সব সময় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে সকল শত্রুকে ক্ষমা করে দিয়েছে। বাঙালী জাতির উদারতা,মমত্ববোধ বহুমাত্রিক হওয়ায় সুযোগ সন্ধানী পরাজিত শত্রু প্রবল শক্তি নিয়ে বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে পরাজয়ের বদলা নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বীর বাঙালী জাতির মেধা-মনন-বুদ্ধি-বিবেক বীরত্বকে গুঁড়িয়ে দিতে ঔৎ পেতে থাকা শেয়াল-শকুনের দল এখনো গভীর ষড়যন্ত্রে মত্ত। জাতিকে নেতৃত্ব শুন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত পরাজিত শক্তি হিংস্র দানবের দল সুযোগ পেলেই আঁছড়ে পড়ছে আমাদের উপর। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গ্রাস করতে বিদেশী রাক্ষুসের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। এরা আমাদের দেশটা দখল করতে আসছে না কিন্তু আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে জোঁকের মতো, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড চিবিয়ে খাচ্ছে হায়েনার মতো। বিদেশী দস্যুরা সুকৌশলে দখল করে নিয়েছে আমাদের অর্থনীতির সাম্রাজ্য। বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আদলে বহুজাতিক কোম্পানি গুলো হাতিয়ে নিচ্ছে দেশীয় মূলধন। আর তাদের পৃষ্টপোষক হিসেবে আছে কিছু স্বদেশী বিবেক-প্রতিবন্ধী মীর জাফরের দল। মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ-উদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে লুটপাট আর দুঃশাসনের সুনিপুণ পথ তৈরি হয়েছিলো।তার মাসুল হিসেবে ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর আমাদের শোষণ করেছিলো। ১৯৭১সালে কিছু স্বদেশী বিশ্বাসঘাতক রাজাকার আলবদরের সহযোগিতায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশের অনেক বুদ্ধিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও বিদেশি শকুনদের সাথে আঁতাত করে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে কিছু নব্য মীর জাফর। বিদেশি বেনিয়াদের তোষামোদ আর তাঁবেদারি করে ওরা আমাদের হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সুকৌশকে থামিয়ে দিচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। দারিদ্রতা,অর্থনৈতিক মুক্তি,স্বাধীনতার অর্জনের মূললক্ষ,আশা,আকাঙ্ক্ষা আর চেতনাকে বাস্তবায়নের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও সফলতা অর্জন সম্ভব হচ্ছেনা এই সব মুখোশধারী দেশ বিরোধী হায়েনাদের ষড়যন্ত্রের কারণে। এই দেশে এখনো বিচরণ করে মীর জাফর,জগৎ-শেঠ,রাজ বল্লভ, মুহাম্মদী বেগ,উমিচাঁদ আর ঘষেটি বেগমের প্রেতাত্মা। ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্ত আসেনি প্রকৃত স্বাধীনতা। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৯ বছর অতিক্রম করেও জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছিনা, পরাজিত শক্তি এখনো স্বরব এই দেশটাকে গিলে খাবে বলে। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত একটি দেশ আমাদের প্রাণের দাবী তবুও যেনো কোন অদৃশ্য শক্তির কাছে আমরা বারবার হেরে যাচ্ছি। অনিয়ম-দুর্নীতি,লুটপাট,গুম-খুন, ধর্ষণ আর অধিকার হরণের মহোৎসব চলছে স্বাধীন দেশে। ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি এখনো,ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতির প্রতিহিংসাপরায়ণতার মিছিলে ডুবতে বসছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাক স্বাধীনতা যেনো এখন কাগজে বাক্য,রাষ্ট্রীয় লুটপাট আর আমলাতন্ত্রের জটিলতায় হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত-নিন্মবিত্তের মাস শেষ হিসেব করার সময় থাকেনা রাষ্ট্রীয় সম্পদ কিভাবে সীমান্তপাড়ি দিয়ে মোটা হচ্ছে বিদেশী ব্যাংকগুলো। হাজারো অসংগতি মানুষ মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছে দরিদ্রতার আর খেয়েপড়ে বাঁচার সংগ্রাম করতে করতে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রাজকীয় মনোভাব ভীতি ঢুকিয়ে দেয় রাজ্যের সাধারণ প্রজাদের।
মানুষের রক্ত শুয়ে উৎসব চলে রাষ্ট্র জুড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজিত করে বিজয় অর্জিত হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র কৌশলে আমাদের শোষণ করে যাচ্ছে,বিদেশী রাষ্ট্রগুলো যখন স্বাধীন দেশের উপর প্রভুত্ব জাহির করে তখন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ম্লান হয়ে যায়। ম্লান হয়ে পড়ে আমাদের বীরত্বগাথা ইতিহাস।এই অপচেষ্টা রুখতে না পারলে আমাদের গৌরব উজ্জ্বল স্বাধীনতা কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কোনে একদিন। অরক্ষিত সীমান্ত,কাঁটাতারে ঝুলন্ত লাশ,প্রতিদিন সীমান্তে গুলি,তিস্তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত,সুন্দরন ধ্বংস করতে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ,ট্রানজিট সুবিধা,ভারতীয় সংস্কৃতি দিয়ে সিনেমা হল দখল,ভাষার মাসে ভাষা শহীদের বুকে পা দিয়ে হিন্দী গানে প্রজন্মকে মাতোয়ারা করে রাখা,ভারতীয় চ্যানেলে দখল স্যাটেলাইট, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয়ের নগ্ন হস্তক্ষেপ, জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অশনি সংকেত। শুধু এ যুগে নয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রর জন্য এই মাটি যুগে যুগে জন্ম দিয়ে তিতুমীর,হাজী শরীয়ত উল্লাহ,ক্ষুদিরাম,সূর্যসেন,শেরে বাংলা ফজলুল হজ,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী,মাওলানা ভাষাণীর মতো ক্ষণজন্মা পুরুষ।
তাদের গৌরব আত্মত্যাগ অসামান্য অবদান ভুলে আমরা কেন বিদেশী প্রভুত্বকে মেনে নিবো প্রশ্ন থেকেই যায়। যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব কাঁপানো বীর সন্তান,যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা,যে স্বাধীন দেশের জন্য এতো প্রাণ, এতো রক্ত ঝরলো সেই দেশ,সেই মানচিত্র,সেই পতাকা অন্য কারো তাঁবেদারি করবে জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং হতাশার। আমরাতো এখনো ফুরিয়ে যাইনি এখনো এই দেশের দামাল ছেলেরা বিশ্ব ইতিহাস সৃষ্টি করছে,মেধা-মনন-বুদ্ধি দিয়ে জয় করছে বিশ্ব। আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে রচনা করছে ইতিহাস গড়া সাফল্য,বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বলিত করছে স্বদেশ,দেশের পতাকা উড্ডয়ন করছে স্বগৌরবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অসীম সাহসিকতার ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই জাতির বীরত্বকে মলিন করার অপচেষ্টা কার স্বার্থে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে হয়তো বেরিয়ে আসবে ইতিহাস বিকৃতকারী কিছু ভিনদেশীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীর নাম,যারা এ মাটির শিকড় ভেদ করে ফলানো শস্য খেয়ে,এ দেশের প্রকৃতির নির্মল বাতাসে গা শীতল করে,লক্ষ শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখে দেশটাকে বিদেশী-বেনিয়াদের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখবে। আমরা এমন অনেক স্বদেশী প্রেতাত্মাদের চিনি তবুও দেশের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার ভয়ে কিংবা সঠিক নেতৃত্বের অভাবে সব সয়ে যাচ্ছে।
তবে সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় দেশপ্রেমে বলিয়ান আমাদের প্রজন্ম ধিরেধিরে জেগে উঠছে এদের শিকড় উপড়ে ফেলবে এই মাটির বুক থেকে। প্রত্যাশা নয় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মই দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ করে দিয়ে অক্ষুণ্ণ রাখবে লাখো শহীদের রক্তের নদী পাড়ি দিয়ে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা।
লেখক-কবি সংগঠক,সমাজকর্মী
Leave a Reply