কাচিন রাজ্যের জেড পাথর সমৃদ্ধ হপাকান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে বলে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তার লিন মাউং রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
ওপেন পিট পদ্ধতিতে খোড়া এসব খনিতে রত্নপাথর খোঁজার সময় মাটি, কাদা ও খনি বর্জ্য সরিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়, যাকে বলে টেইলিং।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারি বর্ষণের মধ্যে শ্রমিকরা পাথর সংগ্রহ করার সময় আড়াইশ ফুট উঁচু বিশাল এক কাদার স্তূপ ধসে পড়ে।
ফলে খনিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জল-কাদার বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং বহু শ্রমিক তার নিচে চাপা পড়েন।
অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী উ তিন সোয়ে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
বিশ্বে সবুজ রংয়ের প্রায়-স্বচ্ছ রত্ন পাথর জেডের সবচেয়ে বড় উৎস মিয়ানমার। সেখানে উত্তোলিত জেড পাথরের বেশিরভাগটাই প্রতিবেশী দেশ চীনে রপ্তানি হয়।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশ আর হপাকান্ত জেডের খনির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সরকারের কার্যকর তদারকি না থাকায় সেখানে প্রায়ই প্রাণঘাতী ভূমিধস ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে।
মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময় মিয়ানমারে বর্ষা মৌসুম চলে। এ সময়ে হপাকান্তের সব খনিতে কাজ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে, যারা স্বাধীন রত্ন সন্ধানী। বড় খনিগুলো অনুসন্ধান চালানোর পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশের মধ্যে রত্ন খোঁজেন তারা।
Leave a Reply