চীনের উহানে আঘাত হানার তিন মাস আগেই নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা টমাস ফিলিপসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। অর্থনীতিবিদ টমাস ফিলিপসনের দাবি, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে গোটা দুনিয়া যখন নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি, তখনই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছিল।
টমাস ফিলিপসন জানান, মহামারির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ৪১ পাতার একটি প্রতিবেদনও হোয়াইট হাউসে জমা দিয়েছিলেন মার্কিন শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। তাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু, ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনীতিবিদদের প্রতিবেদনটিকে অবজ্ঞা করেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও গুরুত্ব দিতে চাননি।
সাক্ষাৎকারে টমাস ফিলিপসন আরও বলেন, মহামারিতে আমেরিকায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে, ৪১ পাতার ওই প্রতিবেদনে সে আশঙ্কাও ব্যক্ত করা হয়েছিল। তারা এ-ও জানিয়েছিলেন যে, এ মহামারির ধাক্কায় আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৭৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির প্রকোপ কমানোর প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটির টমাস ফিলিপসন ছিলেন সহ-লেখক। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একা নন, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও সিইএ’র এ প্রতিবেদন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। একে অবজ্ঞার পরিণতি আমেরিকার জন্য কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বাকি বিশ্বকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আমেরিকায় আজ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭ লাখ ১১ হাজার ৪৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ১২০ জনের।
সূত্র: পার্সটুডে
Leave a Reply