শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই চায় কাজ করে সংসার চালাতে। কিন্তু দেশে সবার কাজের সুযোগ হয় না। ফলে বাধ্য হয়েই পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রতি বছর কাজের সন্ধানে বিদেশ পাড়ি জমান লাখ লাখ বাংলাদেশি। অধিকাংশ প্রবাসী বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন। ধারদেনা করে বিদেশ যাওয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয়। ইচ্ছা থাকলেও বছরের পর বছর দেশে আসা সম্ভব হয় না। অনেকের আবার জীবিত ফিরে আসাও সম্ভব হয় না। কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় অথবা রোগে ভুগে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই। এরমধ্যে বেশিরভাগই দুশ্চিন্তা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বিদেশে গিয়ে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি খরচে তাদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দর থেকে লাশ পরিবহন ও দাফনসহ আর্থিক ক্ষতিপূরণও প্রদান করে সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৩৮ হাজার ২৪ জনের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরা সবাই কাজের জন্য বিদেশ গিয়েছিলন। শুধু তাই নয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাশ আনা হয়েছে এক হাজার ৬৯৮ জন প্রবাসীকর্মীর। দেশে ফিরিয়ে আনা এসব লাশের মধ্যে বেশিরভাগই সউদী আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী।
জানা গেছে, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে যেকোনো প্রবাসীকর্মীর মৃতদেহ দেশে আসলে তাদের লাশ পরিবহন ও দাফন সম্পন্ন করার জন্য ৩৫ হাজার এবং আর্থিক সাহায্য হিসেবে তিন লাখ টাকা করে দেয়া হয়।
Leave a Reply