বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ বোঝাই হয়ে জাহাজ ভিড়ছে বাংলাদেশে। তবুও এর বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ছে না সিলেটসহ দেশের খুচরা বাজারে। কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ। সিলেটে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কেজি ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে খুচরা পর্যায়ে গিয়ে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। মূলত খুচরা বাজারে ৯০ টাকার নিচে পেঁয়াজ মিলছে না।
বর্তমানে বাজারে ভারত ও মিয়ানমারের যেসব পেঁয়াজ তা অধিকাংশই পচে গেছে। তাই সিলেটের বাজারে পেঁয়াজের সংকট বলে জানিয়েছেন কালীঘাটের ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম এখনো নাগালের বাইরে যায়নি বলে দাবি তাঁর।
বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার পরও দাম কমছে না কারণ জানতে চাইলে সিলেটের বাজার কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণ করে স্থানীয় পর্যায়ে পাঠাতে হবে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পর্যায়ে তেমন কিছু করার নেই। আমরা প্রতিদিন বাজারে যাই ইন্সপেকশন করি। যেসব ফড়িয়াদের মাধ্যমে সিলেটে পেঁয়াজ আসে তাদের কাছে কোনো পণ্যের দামের রশিদ থাকেনা। যার কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য জানা যায় না। তাই প্রকৃত দামও নির্ধারণ সম্ভব হয় না। তারা যে দামে সিলেটের পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে সেই দামেই বাজার মূল্য নির্ধারিত হয়।
অভিযান পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুর্শেদ কাদের বলেন, আসলে এই ক্ষেত্রে অভিযান তেমন ফলপ্রসূ হয় না। উল্টো হিতেবিপরীত হয়ে যায়। গত দুই তিনবছর আগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিলো, ভয়ে ফরিয়ারা পেঁয়াজ আনাই বাদ দিয়ে দিয়েছিলো। এতে সমস্যা আরো প্রকোট আকার ধারণ করবে। এ সমস্যা সমাধানে আমদানি ব্যুরো ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর যদি স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের আমদানি পর্যায়ের দামের আপডেট দিতে পারে তাহলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে পেঁয়াজ বোঝাই জাহাজে সারি রয়েছে গভীর সমুদ্রে। সর্বশেষ মঙ্গলবার পর্যন্ত এক হাজার ৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ খালাস করতে ছাড়পত্র দিয়েছে বন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র। পাকিস্তান এবং মিয়ানমার থেকে আসা ১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এসব পেঁয়াজের মধ্যে ৫শ টনের বেশি পেঁয়াজ খালাস হয়ে খাতুনগঞ্জসহ ঢাকা, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের গুদামে চলে গেছে। বাকি পেঁয়াজ আজ-কালের মধ্যেই খালাস শেষ হবে। এছাড়া মিশর, তুরস্ক, চীন থেকেও আরও পেঁয়াজ বোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে রয়েছে।
Leave a Reply