সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের খবর নতুন কিছু নয়। এবার জানা গেলো আজব এক অনিয়মের খবর। জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়াবাজারসহ একাধিক স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষায় বাঁধ নির্মান করার কথা থাকলেও জলবায়ু ফান্ডের প্রকল্পের আওতায় বাঁধ নির্মাণ না করে ব্লক দেখিয়েই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, উপসহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন। সোমবার দুই সদস্যের এ টিম সরজমিনে পরিদর্শন করেছে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, কেউ একজন দুদকের হটলাইন ১০৬-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি অভিহিত করেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল পরিদর্শনে যান দুদক কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও পাথারিয়া বাজারসহ সরকারি একাধিক স্থাপনা পুরাতন সুরমা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পুরাতন সুরমা নদীর ডানতীরে পাথারিয়া এলাকায় ২২৩ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পের ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে ব্লক তৈরি করতে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় আবার ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন দুদকের এ এনফোর্সমেন্ট টিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, উপসহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল তাজুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) মো. শামসুদ্দোহা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান।
Leave a Reply