সিলেটে সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে তিন দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। সিলেট বিভাগের চার জেলায় এই ধর্মঘট পালনের ডাক দেয় ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্নিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’। অন্যদিকে, পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে নগরীসহ পুরো জেলায় অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে টানা চার দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ফাঁদে পড়েছেন সিলেটবাসী।
গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মোটরবাইক, মিশুক ও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার থেকে সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধর্মঘট শুরু হয়। সিলেট জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পো শ্রমিক জোটের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদ এর ডাক দেয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের সব মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে, অটোরিকশা ধর্মঘটের ফলে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। নগরীতে গণপরিবহনের অপ্রতুলতার মধ্যে অটোরিকশা সাধারণ মানুষের প্রধান ভরসা। সোমবার অটোরিকশা না থাকায় রিকশার চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে অধিকাংশ চালক বাড়তি ভাড়া আদায় করেন। অনেকে রিকশা না পেয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হন। আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরতরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন।
অন্যদিকে, পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে এর আগে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। এতে দাবি আদায় না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। পুরো সিলেট বিভাগে এ ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানালেও এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার পরিবহন-সংশ্নিষ্টরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফলে বিভাগের অপর তিন জেলা সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে টানা তিন দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হচ্ছে।
এদিকে একই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ধর্মঘটে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপ। সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা ।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুক।
তিনি জানান, আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬ টা থেকে ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। ধর্মঘটের সাথে একাত্বতা পোষণ করেছে হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়। এর ফলে হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন সার্ভিসসহ হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের আওতাধীন সবধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
Leave a Reply