সোমবার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে এসেছে প্রায় ৫০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এরমধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আসবে সিলেট বিভাগে। ৪/৫ দিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন এসে সিলেটে পৌঁছবে। এগুলো বিতরণ করা হবে পুরো বিভাগে।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সিলেট বিভাগের জন্য ৩৭ কার্টুন ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি কার্টুনে ১২০০ ডোজ করে ভ্যাকসিন থাকবে।
তিনি বলেন, প্রথম চালানে সিলেট বিভাগে আসা ৩৭ কার্টুন ভ্যাকসিনের মধ্যে ৫ কার্টুন মৌলভীবাজারে, ৬ কার্টুন হবিগঞ্জে ও ৭ কার্টুন যাবে সুনামগঞ্জে। বাকীগুলো থাকবে সিলেট জেলার জন্য।
করোনা চিকিৎসার জন্য বরাদ্ধকৃত সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে জানান ডা. আনিস।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, টিকা রাখার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান অন প্রোগ্রাম ( ইপিআই) ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে সব ধরণের টিকা রাখা হয়। টিকা রাখার জন্য এটি আদর্শ ভবন।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা চুক্তির তিন কোটি টিকার প্রথম চালান ৫০ লাখ ডোজ দেশে আসে। সিরামের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা দেশে আসলো।
টিকা গ্রহণকালে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি সাংবাদিকদের জানান, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে দেশের সব জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারতের পুনে থেকে দিল্লি হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
পাপন বলেন, প্রতিটি ভ্যাকসিনের স্যাম্পল আমরা ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরিতে পাঠাবো টেস্ট করার জন্য। তারা ছাড়পত্র দিলে প্রতিটি জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো। ধারণা করছি, ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে অথবা চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে আমরা এ ভ্যাকসিনগুলো দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিতে পারবো।’
এখন থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে, জানান তিনি।
Leave a Reply