পরীক্ষা ছাড়াই এবার এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সব শিক্ষার্থীকেই দেয়া হয়েছে অটোপাস পাস ।
২০১৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের চেয়ে এই বছর তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীই সবচেয়ে বেশি।
শিক্ষা বোর্ড সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের সকলকে অটোপাস দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সিলেট জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ২ হাজার ৮২০ জন। হবিগঞ্জ জেলায় ৫৩২, মৌলভীবাজারে ৬৯৭ ও সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৯২ এবং মেয়ে ১ হাজার ৭৮৬। মানবিক বিভাগে ছেলে ৭৪ ও মেয়ে ১৯৭ জনসহ মোট ২৭১ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২১৩ জন। এরমধ্যে ছেলে ৮৭ ও মেয়ে ১ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. মোস্তফা কামাল আহমদ জালালাবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। তাই এসএসি ও জেএসসি’র ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১ হাজার ৯৪ জন। ওই বছরের চেয়ে এই বছর ৩ হাজার ১৪৮ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৮৭৩ জন, ২০১৭ সালে ৭০০ জন এবং ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পায়।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পরীক্ষার ফলাফল সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Leave a Reply