চলমান লকডাউনে অসহায় গণপরিবহনের কর্মহীন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো ও আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- বি ১৪১৮) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম। তিনি মঙ্গলবার রাতে তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সরকারের কাছে এই মানবিক আবেদন জানান।
নিচে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘোষিত লকডাউনে গণপরিবহন শ্রমিকরা মাসজুড়ে উপার্জনহীন হয়ে চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। দৈনিক রোজগারের ওপর জীবনযাপন প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত পরিবহন শ্রমিকদের সঞ্চয় থাকে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণ পাওয়াও বিরাট কষ্টের। গত বছর ৬৬ দিনের লকডাউনের সময়ও গণপরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো সহায়তা পায়নি। সরকারের এই দায়িত্বহীন ভূমিকা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অস্থিরতার জন্ম নিচ্ছে। যা শ্রমিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব থেকে বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হচ্ছে।
কর্মহীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকদের দ্রুত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের এবং বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচল করছে আমাদের গাড়ি গুলোও চলাচলের দাবি জানিই। গণপরিবহন চালু করা হলে শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য মাস্ক-স্যানিটাইজার সরবরাহের পাশাপাশি ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। কোন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সহ চিকিৎসাকালীন সময়ে মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে আর গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে যাত্রি চলাচল কম থাকবে, যা পরিবহন শ্রমিকদের আয়কে কমিয়ে দেবে। এ অবস্থায় টার্মিনালগুলোতে ১০ টাকা কেজি (ভিজিএফ) চাল শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের দোকান স্থাপন করতে হবে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সদস্য কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের মধ্যে রেশন মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
Leave a Reply