1. sylpe2019@gmail.com : Nongartv :
  2. regularmd@gmail.com : Suhag Rana : Suhag Rana
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটারদের করণীয়- সাজন আহমদ সাজু

নোঙর টিভি ডেস্ক
  • আপডেটের সময় রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১

সংবিধানে আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ কিন্তু বাস্তবে কি তাই?

সে প্রশ্ম উঁকি দেয় মাঝে মাঝে আমার অবচেতন মনে।

জনগণের চাওয়া পাওয়ার বিস্তর ফারাক দেখে এই উক্তিটি কাগজে শ্লোগান মনে হয় কখনো কখনো।
আমাদের যত অধিকার সংবিধানে সীমাবদ্ধ তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি বাস্তবায়ন হতো তবে জাতীয় জীবনে আমাদের এতো বিপর্যয় আসতোনা।
মানুষে মানুষে বিভেদ-বিভাজন,সামাজিক সংগতি,দ্বন্দ্ব-সংঘাত,ধনী-গরীবের বৈষম্য লোপ পেতো।
স্বাধীনতার পর থেকে অগনতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতা দখল,স্বৈরশাসকের জাঁতাকালে মানুষের ভোটের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে অনেকবার,মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার সুযোগ হারিয়েছে।

শাসক শ্রেণীর হাতে শোষিত মানুষ ৫০ বছর ধরেই দেখে আসছি খবরের শিরোনামে ?

তবে হ্যা স্বাধীন রাষ্ট্রে জনগণের কদর কত তা পাচ বছরে একবার উপলব্ধি করতে পারে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

আমার আজকের লেখার মুখ্য বিষয় আমরা কেমন প্রার্থীকে পবিত্র আমানত দিয়ে নির্বাচিত করবো?

পাঁচ বছর পর আবার দরজায় করা নাড়ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, গ্রামে-গঞ্জে চলছে উৎসবের আমেজ।উৎফুল্ল গ্রামের সরল মনা মানুষ।পত্রিকা টিভির শিরোনাম থেকে চায়ের কাপ সর্বত্র নির্বাচনী উত্তাপ।
প্রচার-প্রচারনায় সরগরম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরতলী,প্রার্থী এবং ভোটারদের হিসেব নিকেশ চলছে রাতদিন।বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী ছাড়াও সতন্ত্র প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইছেন,ক্ষমতার চেয়ারে বসে যিনি লুটেপুটে খেয়েছে তিনিও বেশ সাধু সেজে আবারও ভোট যুদ্ধে নেমেছেন,পাশাপাশি উন্নয়ন আর পরিবর্তনের ফিরিস্তি নিয়ে নতুন মুখও দেখা যাচ্ছে পুরোদস্তুর অভিনয়ে।
ভোট শেষে কে কি করবেন সে অঙ্গিকারে কেউ থেকে কেউ কম যাচ্ছেন না,সভা সমাবেশ, বক্তৃতা,পোষ্টার-লিফলেটে চলছে কথার যুদ্ধ।
সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ভদ্র সাজার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে আশপাশে।

চেনা মুখগুলো খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পালটে গেছে কারণ একটাই নির্বাচনে দাড়িয়েছেন।

জনগণ আর নেতাদের এই লুকোচুরি খেলা দেখে এখন আর বুঝে নিতে কষ্ট হয়না সবটাই নেতাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুনিপুন অভিনয়,নির্বাচনী মৌসুম তাই সাহায্যের দ্বার উন্মুক্ত আপাতত সবার জন্য।
বিয়ে-খতনা,চেহলাম,ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করে খেলাধুলা সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে রথীমহারথীদের সাথে নেতা হওয়া পাঞ্জাবীওয়ালাদের,ভোটের মাঠে পাঞ্জাবীর কদর হয়তো বঙ্গদেশে বেশী।সাদা পোশাক পরে নিজের কুৎসিত মনটা ঢেকে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা প্রার্থী মশাইদের।

দানবীর,দরদী,সমাজ সেবক,শিক্ষানুরাগী, গরিবের বন্ধু বিশেষণের পর বিশেষণ যুক্ত নামের শেষে।
রাজনৈতিক দলের নেতারা দলীয় আদলে মার্জিত শব্দে সাজিয়ে গুজিয়ে ইশতেহার পেশ করছেন জাতির সামনে।
কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন সেটা বিবেচনায় না থাকলেও কে কতটা সাবলীল ভাষায় জাতির সামনে প্রতিশ্রুতির বাগান সাজানো যায় সে বিষয়ে কম বেশ সকলেই দক্ষতার ছাপ রেখেছেন।

নির্বাচনী ইশতেহার আর প্রতিশ্রুতির জোয়ারে ভাসছে দেশ, সাদা কালো পোষ্টার,লিফলেট, মাইকিং প্রচার প্রচারণা চলছে বেশ জোরেসোরে।

জনগণের রক্ত চুষে সম্পদের পাহাড় স্তুপ থেকে নেমে অট্টালিকার সাহেবরাও হাতজোড় করে, সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর, শ্রমিকদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইছেন ক্ষমতার মসনদে যেতে।

অনাদরে, অবহেলায় বেড়ে ওটা ক্ষুধার্ত

শিশুটিকেও কূলে তুলে নিচ্ছেন পরম মমতায়,দারিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রাম করা যুবক-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ভিক্ষা চাইছেন একটি ভোট।
ব্যক্তিজীবনে কর্কট,রুষ্ট ববদমেজাজি মানুষটিও শিখে নিয়েছেন নির্বাচনকালীন বিনয়ের অভিনয়।ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তার দিকেই কিছুদিন আগেও যার দিকে ফিরেও তাকান নি।

আচ্ছা ভোট কি ভিক্ষা দেওয়ার জিনিস,আসুন ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে  ইসলাম কি বলে একটু দেখি ?

ভোট ভিক্ষা দেওয়ার জিনিস না ভোট পবিত্র আমানত, আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে ভোট দিতে হয়।কারো মিথ্যে আশ্বাস আর উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে প্রভাবিত না হয়ে বিবেকের চোখ দিয়ে দেখে শুনে,জেনে বুঝে বিবেচনা করে পবিত্র আমানত তাকেই দান করতে হবে, যে ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্টা করবে,বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণ করবে, পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়নে আন্তরিক হবে,ন্যায় বিচার, সুশাসন কায়েম করবে,  সমাজ তথা রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ নির্দ্বিধায় ত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।

মহান আল্লাহতায়ালা ভোটকে আমাদের ওপর বিশেষ এক আমানত হিসেবে ন্যস্ত করেছেন।

আমরা যদি আমাদের ওপর অর্পিত এ আমানতকে মর্যাদা না দিই এবং যথাস্থানে প্রয়োগ না করি তাহলে নিশ্চয় মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ৫৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে

‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আমানতগুলো যোগ্য ব্যক্তিদের ওপর ন্যস্ত করার আদেশ দিচ্ছেন এবং নির্বাচিতদেরও বলে দিচ্ছেন তোমরা যখন শাসন কাজ পরিচালনা কর তোমরা মানুষের মাঝে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন করবে। নিশ্চয় আল্লাহর উপদেশ কতই না চমৎকার।

রাষ্ট্রের প্রধান বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হবেন নির্বাচিত ব্যক্তি আর সেই পদে নির্বাচনের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তিকে ভোটদানের নির্দেশ ইসলামে দেয়া হয়েছে।

উপরে বর্ণিত আয়াতে জনপ্রতিনিধি কিংবা  শাসন কার্যে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ নির্দেশই দেয়া হয়েছে তারা যেন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণতা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে নিজেদের কর্তৃত্বের সদ্ব্যবহার করেন।

রাসূল (সা.) বলেন, মুসলমানদের যিনি বড়ো নেতা তিনিও দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। (বুখারী, মুসলিম)

রাসূল (সা.) আরও বলেন, যে দায়িত্বশীল মুসলিম জনপ্রতিনিধি সে যদি জনগনের সাথে প্রতারণা  করে এবং খিয়ানাতকারী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে আল্লাহ তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করা হারাম করে দেবেন। (বুখারী, মুসলিম)

দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সর্বাধিক যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করা খুব প্রয়োজন।

এটি এমন একটি বিষয়, আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে  এ বিষয়ের প্রতি মুমিনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেছেন

কি ধরনের নেতা নির্বাচন করা উচিত?

এ আয়াতে প্রথম দায়িত্বটি হল ভোটারদের অর্থাৎ ভোটারদের দৃষ্টিতে যে ব্যক্তি সর্বোত্তম তাঁর পক্ষে ভোট দেয়ার শিক্ষাই ইসলাম প্রদান করে।

সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়া যেমন অধিক পুণ্যের কাজ, তেমনি অসৎ, অনুপযুক্ত, দুষ্কৃতকারী কোনো ব্যক্তিকে ভোট দেয়াও শক্ত গুনাহের কাজ।

পবিত্র কোরআনে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়াকে যেমন হারাম জ্ঞান করা হয়েছে, তেমনি সত্য সাক্ষ্য দেয়াকে ওয়াজিব করেছে।
ভোট একটা সত্য সাক্ষ্য।

ভোটের মাধ্যমে আপনি একজন ব্যক্তির পক্ষে সত্য সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

মুমিনদের মধ্যে যারা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নেতৃত্বের আমানতের বোঝা বহন করার অধিকতর যোগ্য, তাদের হাতেই এ আমানত অর্পণ করার শিক্ষা ইসলাম আমাদের দেয়।

ইসলামে আমানতের খেয়ানতকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

আল্লাহ বলেন,হে ঈমান ব্যক্তিরা- আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতসমূহ তাদের (যথার্থ) মালিকের কাছে সোপর্দ করে দেবে। (৪/সূরা আন নিসা:৫৮)

অপাত্রে বা অযোগ্য লোককে ভোট দেওয়া আমানাতের সুস্পষ্ট খিয়ানাত ও বিশ্বাসঘাতকতা।

আল্লাহ বলেছেন,
হে ঈমানদার বান্দারা- তোমরা আল্লাহ তাআলা ও (তাঁর) রাসূলের সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করো না এবং জেনে-শুনে নিজেদের আমানাতেরও খিয়ানাত করো না।

(৮/সূরা আল আনফাল:২৭)

ইসলামের উপকার বা নির্দেশনাকেই মূল বিবেচনায় না রেখে শুধুমাত্র ভদ্রতা, লোভ-লালসা কিংবা কোনো বিশেষ দলের বশ্যতাবশত যদি ভোট দেওয়া হয় তাহলে তা নিজেকে গুনাহের দ্বারা ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছু নয়।

ভোট দেওয়া মানে সাক্ষ্য দেওয়া আর অপাত্রে ভোট দেওয়া (বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া) কবীরা গুনাহ।

ভোট আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে এমন একটি আমানত যার সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তুমি তোমার আমানত যোগ্য ব্যক্তিকে প্রদান কর’

তাই আল্লাহ প্রদত্ত এ আমানতকে যদি আমরা যথাযথ স্থানে প্রয়োগ না করি তাহলে তা হবে খেয়ানতের তুল্য আর এ জন্য আমাদের জিজ্ঞাসিত হতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী রাসূলেপাক (সা.) বলেছেন,

তোমরা সাবধান হও!

তোমরা প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’।

তাই ঈমানের সঙ্গে যোগ্য ব্যক্তির কাছে এ আমানতকে হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে যাকে আমরা ভোট দিতে যাচ্ছি তিনি এর যোগ্য কি না বা এ আমানতের ভার বহন করার মতো শক্তি তার মাঝে আছে কি না?

এমন যেনো না হয় এ ব্যক্তিকে আমি পছন্দ করি বা অমুক আমার প্রিয়জন,আমার দলের প্রার্থী বা আমার আত্মীয় আমি তাকেই ভোট দেব।

আমাদের সমাজে অনেকেই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যান,ব্যক্তিগত ফায়েদা খুঁজেন ভোট এলে, তারা ভুলে যান তাদের ভোটটি বিক্রি করে সাময়িক কিছু লাভ হয়তো হবে কিন্তু এই সমাজ এবং দেশের মানুষের অনেক ক্ষতি তারা করে ফেলেন অযোগ্য,অসৎ দুশ্চরিত্র দুর্নীতিবাজ লোককে ক্ষমতা দিয়ে।

এদের ব্যাপারে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলেছেন এবং অবশ্যই এদের শাস্তি হবে খুবই কঠিন।

অর্থের লোভে সাময়িক লাভের প্রত্যাশায় আমরা যেনো বিবেক বিক্রি না করি ইসলামের আলোকে সেটাই অনুমেয় হয়।

আবার অনেকেই আছেন দুষ্টলোকের মিথ্যে ভনিতা দেখে, মায়াকান্না, ছলচাতুরী দেখে  আবেগ আপ্লুত হয়ে ভোট দিয়ে দেন মুখোশপড়া ভদ্রবেশী মানুষদের, ভোট ভিক্ষা দেওয়ার জিনিস নয় আপনার একটি আমানত অনেক গুলো মানুষের ভাগ্যের ত্রাতা হয়ে যায় জনপ্রতিনিধি হয়ে।একটি ভোটের কাছে অনেকগুলো মানুষের ভাগ্য জড়িত হয়ে গেছে এখন।

শাসনকার্য পরিচালনার করার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সময় আবেগের কোনো মুল্য নেই, এখানে বিবেককে কাজে লাগাতে হবে।

মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যখন আমরা  বিচারের সম্মুখীন হবো তখন আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে তোমাদের তো বিবেক দিয়েছি সেটাকে কেনো কাজে লাগাও নি,তখন কোনো উত্তর থাকবেনা এবং অবশ্যই আমানতের খেয়ানত করার ফলে আমাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

আমাদের আমানতে নির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতার পাওয়ার পর যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে,ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে,গরীবরের হক খায়, মজলুমের উপর জুলুম -নির্যাতন করে, অবিচার করে তার পাপের শরীকও আমরা হয়ে যাবো।

ঠিক তেমনি যাকে নির্বাচিত করবো সে যত ভালো কাজ করবে আমরাও তাঁর পূণ্য থেকে নেকি পাবো।

আল্লাহতায়ালা শুধু শাসকদেরই জবাবদিহি করবেন না

যে তুমি সঠিক কাজ করোনি কেন?

বরং ভোটারদেরও এই বলে জিজ্ঞেস করা হবে

তোমাকে যে ভোটাধিকার দেয়া হয়েছিল তুমি তার সঠিক প্রয়োগ কেনো করোনি?

আমাদের কোন জবাব থাকবেনা তখন মায়াকান্না করে ভোট নেওয়া লোকটাও আমাদের পাশে দাঁড়াবে  না, আমাদের হিসেব আমাদেরই দিতে হবে।

তাই ভোটারদের উচিৎ  বিবেককে কাজে লাগিয়ে সৎ,যোগ্য, কর্মঠ, দক্ষ, প্রজ্ঞাবান সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য লোককে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা।

সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও অসৎ লোককে ভোট দেয়া বিশ্বাসঘাতকতা,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন- “যে ব্যক্তি সৎ লোক থাকা সত্ত্বেও কোন অসৎ আত্মীয়কে (ভোট বা অন্য প্রক্রিয়ায়) কর্মচারী/নেতা নিযুক্ত করে, সে আল্লাহ, রাসূল (সাঃ) ও মুমিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।

টাকার কাছে বিবেক মনুষ্যত্ব বিক্রি করে ব্যক্তি স্বার্থ না খুঁজে, পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়ন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায়,ন্যায় বিচার, সুশাসন প্রতিষ্টা সর্বোপরি নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে যোগ্য,কর্মঠ, পরিশ্রমী পরীক্ষিত মানুষকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করি।

এই দেশ, এই সমাজ আপনার আমার সবার, তার রক্ষার দায়িত্বও আমাদের।

আপনার আমার একটি ভোটই আগামী দিনের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনতে পারে যদি একজন যোগ্য,সৎ লোককে নির্বাচিত করতে পারি আমরা।

মনে রাখা প্রয়োজন পবিত্র কোরআনে

আল্লাহ বলেন, আসল কথা এই যে, আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না সেই জাতির লোকেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন না করে।” (১৩/সূরা আর রাদ:১১)
একটি সুন্দর নিরাপদ আগামী গড়ে তোলতে সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রথম কাজ কেননা যে এলাকার অবিভাবক অসৎ হয়,চুর দুরনীতিবাজ, দুশ্চরিত্র-খারাপ লোক হয় সে এলাকা বা সমাজের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়।।
আমরা আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা,বিবেক-মানবতাবোধ জাগ্রত করে প্রতিটি ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যান নির্বাচন করি সৎ-যোগ্য পরিশ্রমী জনপ্রতিনিধি।
তবেই আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্র এবং মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব।

লেখক-কবি ও প্রাবন্ধিক

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2020 Nongartv.com . Design & Development by PAPRHI
Theme Customization By Freelancer Zone