সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমন খবরে আন্দোলনে নেমেছে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২২ জুলাই) সকালে সিলেট সদর উপজেলা ও এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরায় সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সম্মুখে ছাত্রছাত্রীদের এই মানবন্ধন অনুষ্টিত হয়। স্থানীয় অধিবাসী চা শ্রমিকরাও ছাত্রছাত্রীদের সাথে আন্দোলনে একাত্বতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ স্কুলের সবুজ পরিবেশ বিনষ্ট করে শিক্ষাঙ্গনে পশুর হাট বসানোর পায়তারা হচ্ছে বলে তারা শুনেছেন। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থবিধির দোহাই দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের সবুজ সতেজ নির্মল পরিবেশকে ধ্বংস করে এখানে পশুর হাট বসানো অনুচিত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের উপর গুরত্ব দিচ্ছেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে সারি সারি ফলজ- ভেষজ গাছ রোপন করা হয়েছে এমতাবস্থায় যদি এখানে পশুর হাট বসানো হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের চিরাচরিত সবুজ সতেজ পরিবেশটা আর থাকবেনা।
বিশ্বের অন্যতম একটি দৃষ্টিনন্দন ক্রিকেট স্টেডিয়াম এই স্কুলের খুবই নিকটে একই সড়কে অবস্থিত এখানে যদি পশুর হাট বসে বিদ্যালয়ের পরিবেশ যেমন নষ্ট হবে একই রকম সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে ।
প্রায় দুই বছর সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে সবুজ প্রকৃতিতে সাজানো হয়েছে আমরা এই পরিবেশ রক্ষার জন্য আন্দোলনে নেমেছি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় চা শ্রমিকরা উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তারা আশঙ্কা করছেন এখানে যদি পশুর হাট বসানো হয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়বেন বাগানের অধিবাসিরা ।
এ বিষয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা সাংবাদিকদের বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মাত্র এক সপ্তাহ আগে চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও চতুর্দিকে কয়েক শ ফলজ ও ভেষজ গাছ রোপণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় এই স্কুলের মাঠে পশুর হাট বসালে এগুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে এবং বর্তমান সুন্দর পরিবেশটা আর থাকবে না। অন্য জায়গায় পশুর হাট বসাতে আমাদের আপত্তি নেই।
শুধু এই বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে যেন হাটটি সরানো হয়।
Leave a Reply