ইফতেখার শামীম- বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি কালাম আজাদ আজ পা রাখলেন তিয়াত্তরতম শ্রাবণে। ১৯৪৭ সালের ১৬ আগষ্ট সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামে জন্ম নেয়া কবি পাড়ি দিলেন জীবনের বাহাত্তরটি বসন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি হেলাল হাফিজের রুমমেট কবি কালাম আজাদ প্রচার প্রতিষ্ঠায় নির্মোহ এক মানুষ। অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে তিনি কবিতা সৃজনকর্মে নিবেদিত। সময়ের অনিবার্য গণ্যবর একজন কবি হওয়া সত্ত্বেও ঘন ঘন গ্রন্থপ্রকাশের চেষ্ঠাও তিনি করেননি। যার কারণে তার গ্রন্থসংখ্যা হাতেগোণা।
কবি কালাম আজাদ পেশায় অধ্যক্ষ। দীর্ঘ বত্রিশ বছর ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে সফল অধ্যাপনা শেষে এখন তিনি সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে অধ্যাপনার দায়িত্ব পালন করছেন।
কবি কালাম আজাদের ভাষায় দীর্ঘ এই জীবনে তার অর্জন ‘ছাত্রছাত্রী ও ফেঞ্চুগঞ্জের গণমানুষের অবারিত ভালোবাসা’। সান্তনা – দৌহিত্র লাবিব, আদিব, দৌহিত্রী আনুশকা, অন্বেষা এবং তাদের নানি রোকসানা আজাদ রীনা।
সবকিছু ছাপিয়ে কবি কালাম আজাদ’কে সবচেয়ে বেশি আবেগাপ্লুত দেখা যায় তার ‘পানকৌড়ির’ ক্ষেত্রে।
কবি কালাম আজাদের দৌহিত্রী রায়া, যাকে কবি ‘পানকৌড়ি ‘ নামে ডাকেন এবং প্রায়ই তাকে নিয়ে ফেসবুকে কবির আবেগ এবং ভালোবাসা ব্যক্ত করেন।
এখন পর্যন্ত কবি কালাম আজাদের তুমুল জনপ্রিয় বই ‘মৃত্তিকার ছাইভস্ম’। সম্পাদক সমীপে কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে কাব্যঙ্গনে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়া এই কবির কাব্যগ্রন্থ ৬টি এবং গল্পগ্রন্থ ২টি। সাহিত্যকৃতির জন্য অর্জন করেছেন ডা. এ রসুল সাহিত্য পুরষ্কার ও রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরষ্কার।
Leave a Reply