পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি মুসলিম বিশ্বে সউদী নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশটির ধর্মীয় ও আঞ্চলিক আধি’পত্যের স’র্বাধিক সংবে’দনশীল স্থানে আ’ঘা’ত করেছেন। তিনি এমন সময়ে এই চ্যা’লেঞ্জ জানিয়েছেন, যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে মিলে সউদী আরব আ’ঞ্চলিক আধি’পত্য র’ক্ষার জন্য তুরস্ক ও ইরানের বি’রুদ্ধে ল’ড়া’ই করছে।
ভারতশা’সিত কা’শ্মীর ইস্যুতে সউদী নেতৃত্বাধীণ ৫৭ টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বি’রুদ্ধে নি’স্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে পাকিস্তান এবং দাবি পূরণ না হলে ওআইসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সমমনাদের নিয়ে আলাদা জোট গড়ার হু’ম’কি দেয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানকে দেয়া ১ শ’ কোটি ডলারের সু’দমু’ক্ত ঋ’ণ সুবিধা প্রত্যাহার করে মধ্যপ্রাচ্যের মো’ড়ল। পাকিস্তান সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তাদের নিজেদের পাশে চাইছিল সউদী। তবে ওআইসিকে পাশ কাটিয়ে সম্মেলন আহ্বানের হু’ম’কি মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বে সউদী আরবের অবস্থানকে সরাসরি ক্ষ’তিগ্র’স্ত করায় পাকিস্তান-সউদী সম্পর্কের অব’নতি ঘটে।
গত ডিসেম্বরে কুয়ালালামপুরে পাকিস্তান, সউদী অন্যতম প্রতিদ্ব’দ্বী তুরস্ক এবং ওআইসি-বি’রোধী মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিল মালয়েশিয়া। তবে সউদীর আ’পত্তির মুখে শেষমুহূর্তে সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিস্তু, ইসরাইলকে স্বী’কৃতি প্রদান এবং ইহুদি রাষ্ট্রটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সমর্থন দেয়ার পর সউদী-পাকিস্তান সম্পর্কে আরো অবন’তি ঘটে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইলের যুগলব’ন্দি মঞ্চস্থ করেছিলেন, চুক্তি ঘোষণার পরপরই জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘অনিবার্যভাবেই সউদী আরব এবং ইসরাইল পুরোপুরি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নেবে।’
এর ফলে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সং’ঘা’তের সমাধান ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদক্ষেপ অনুসরণ করাটা সউদী আরবের আঞ্চলিক আধিপত্যের চ্যা’লেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তোলে। দেশটি আ’শ’ঙ্কা করছে যে, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সম্পদ ও ঐতিহ্য মক্কা ও মদিনার র’ক্ষণা’বেক্ষণ এবং জিম্মাদারি ভাগ করে নেয়ার লক্ষ্যে একটি প্যান-ইসলামিক সংস্থায় সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলির পক্ষ থেকে দাবি উঠবে।
এই পরিস্থিতিতে মক্কা ও মদিনার রক্ষণাবেক্ষণ এবং জিম্মাদারি এবং মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসাবে কর্তৃত্ব ধরে রাখাটাই সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) ইসরাইল কাছে ধর্ণা দেয়ার প্রধান কারণ। প্রাথমিকভাবে ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য মহলে তার অতীতের বি’তর্কিত রূপটি ধা’মা চা’পা দেয়ার জন্য ইহুদী ও খ্রীস্টান গোষ্ঠীগুলির শরণাপন্ন হন তিনি।
সউদীর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইমরান খানের ২০১৮ সালের নির্বাচনী জয়ের পর খুব দ্রুতই পাকিস্তানতে আর্থিক স’ঙ্ক’টে সহায়তা করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাহায্যটি পাকিস্তান প্রসঙ্গে রিয়াদের সাথে সং’হ’তি জানানোর থেকে বরং তুরস্ক ও ইরানের বি’রুদ্ধে নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বি’রোধে পাকিস্তানকে দলে টানার উদ্দেশ্যে ছিল, যারা ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বি’রুদ্ধে তী’ব্র প্রতি’ক্রিয়া জানিয়েছে। এমবিএস সম্ভবত কোরেশির চ্যা’লেঞ্জকে ঘরোয়া সউদীর সংবেদনশী’লতায় আ’ঘা’ত হিসাবে দেখবেন। মক্কা ও মদিনার র’ক্ষণাবে’ক্ষণের রাশ হাতে রেখে ধর্মীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সউদীর এই শাসক পরিবারের সমস্ত বি’তর্কিত কর্মকান্ডে বৈ’ধকরণের জন্য ধর্মীয় সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করেন এমবিএস।
সূত্র : দ্য অ্যালগেমেইনার।
Leave a Reply