সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রাজনকে সহযোগিতায় করায় আইনুল নামের আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
র্যাব-৯ সিলেটের একটি সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত রাজন গৃহবধু গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ থেকে গণধর্ষণের মামলার আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রনিকে গ্রেফতার করে র্যাব আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউলকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতার কৃত শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আর রবিউল ইসলাম (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান (২৮) ও ৪র্থ আসামি অর্জুন লস্করকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে পৃথক এক অভিযানে একই দিন সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহমিদ মিয়ার ছেলে আর অর্জুন জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম গ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক গৃহবধুকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই গৃহবধুর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধু। এসময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর আদালত গৃহবধুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
Leave a Reply