অবশেষে রায়হান হত্যার ২৮ দিন পর মূল অভিযুক্ত বহিস্কৃত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে ভারতের দনা বস্তির খাসিয়ারা ভারতের অভ্যন্তরীণ এলাকা থেকে এসআই আকবরকে আটক করে। পরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী দনা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে খাসিয়ারা তাকে তুলে দেয়।
দ্রুত এসআই আকবর আটকের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সিলেটের জেলা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকায় ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে আকবরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার।
গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।
মামলাটি পুলিশ সদরদফতরের নির্দেশে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরে মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনঃময়নাতদন্ত করা হয়। রায়হানের দেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন মেলে ফরেনসিক রিপোর্টে।
Leave a Reply