চিরকুট লিখে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) ইমরান মাহমুদ (২৬) আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার খালিশপুর হাসপাতালের পেছনে কেপিসিএলের ডরমিটরির তিন তলার একটি রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহতের মরদেহের পাশে চিরকুট পাওয়া গেছে।
চিরকুটে তিনি তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি। তার দাফন-কাফনের খরচ ও পাওনাদারের টাকা তার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে সেখান থেকে করতে বলেছেন। নিহত ইমরানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেপিসিএলের জিএম রেজাউল করিম।
ইমরানের সহকর্মীরা জানান, সকালে শিফটে কাজে যোগ না দেয়ায় ইমরান মাহমুদকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে ডরমিটরির একটি রুমে তাকে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
ইমরানের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তবে কী কারণে ইমরান আত্মহত্যা করেছে, তা কেউ বলতে পারেননি। তবে শুনেছি তার স্ত্রী কিছু দিন আগে একটি ডিভোর্স লেটার পাঠায়।
খালিশপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, কেপিসিএলের এক প্রকৌশলী আত্মহত্যা করেছেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোন্দলের কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
Leave a Reply