প্রতি বৎসর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস বা বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনতার জন্য বিশ্বব্যাপী দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আই এম অ্যান্ড আই উইল’ অর্থাৎ আমি আছি, আমি থাকব’। ২০০৮ সালে প্রথম এ দিবস পালন শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনেস্ট ক্যান্সার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভুক্ত সংস্থা গ্লোবোক্যানের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৫৬ হ্জাার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বছরে ক্যান্সারে মারা যায় ১ লাখ ৯ হাজার মানুষ।
আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে দেশে যত মানুষ মারা যান তার ৬৭ শতাংশ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে।
গ্লোবোক্যানের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে বিশ্বে ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৭ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৭ জনের। মৃতদের মথ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৭ জনের মৃত্যু হয়। কোলোরেক্টাল ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৯২ জনের। স্টোমাক ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৫ জন। লিভার ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৬৩১ জনের। ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৯ জনের। খাদ্যনালির ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৮৫ জনের। প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৪২ জনের। অন্য ক্যান্সারে ৩৪ লাখ ২২ হাজার ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা শিরিন জানান, বাংলাদেশের নারীরা জরায়ুমুখের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের কারণে বেশি মারা যাচ্ছে। অথচ উন্নত বিশ্বে এটি শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। কারণ এই রোগ পুরোপুরি প্রতিরোগযোগ্য। পূর্ব-লক্ষণ যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশেও বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে এবং ভিআইএ নামে সহজ একটি পরীক্ষা জাতীয় ভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব বেশি জোর দেই প্রথমেই ক্যান্সার প্রতিরোধ আর ক্যান্সার আক্রান্ত হলে আগেই নির্ণয় এর উপর।
Leave a Reply