সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষবর্ষের ছাত্রী ফাতেমা ইসরাত লুভনার কিডনি স্থাপনে সহায়তার লক্ষ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সাইক্লোন গ্রপের উদ্যোগে গঠিত ‘সাইক্লোন লুভনা সহায়তা তহবিল’-এ সংগৃহীত চেক আজ শনিবার (১১ জুলাই) হস্তান্তর করা হয়েছে। লুভনার মাতা মোছাম্মত শিরিন ও স্বামী মো. আবদুল আলিমের হাতে ৩লাখ ৬৭ হাজার টাকা চেক তুলে দেন চেক হস্তান্তর সভার প্রধান অতিথি সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. ময়নুল হক। সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জাবেদ আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডবোকেট আবদুস সাদেক লিপনের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী কয়েস লোদী, আবদুল জব্বার জলিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার জলিল। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইক্লোনের সাবেক সভাপতি সেলিম আউয়াল এবং অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সভাপতি মোয়াজ আফসার ও সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন রোটারিয়ান আবদুল মুহিত দিদার।
মেডিকেল ছাত্রী ফাতেমা ইসরাত লুভনার কিডনি প্রতিস্থাপনে সাইক্লোনের সহায়তার উদ্যোগকে একটি মহতি উদ্যোগ আখ্যায়িত করে এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. ময়নুল হক বলেন, মানুষের কল্যাণে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই সমাজ সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠবে।
বিশেষ অতিথি শফিউল আলম নাদেল বলেন, সাইক্লোন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে, এরই একটি পর্যায়ে লুভনার সহায়তায় সাইক্লোনের উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন, আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী কয়েস লোদী বলেন, আমি শৈশব থেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাইক্লোনের কার্যক্রমের সাথে পরিচিত। আজ চল্লিশ বছর ধরে সাইক্লোনের অগ্রগতির মূল কারন হচ্ছে সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক একটি ভ্রাতৃত্ববোধ বিরাজমান।
বিশেষ অতিথি আবদুল জব্বার জলিল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার জলিল বলেন, সাইক্লোনের কার্যক্রম আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এইভাবে কাজ করি তাহলে সমাজ উপকৃত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জাবেদ আহমদ বলেন, মেডিকেলের মেধাবী ছাত্রী লুভনার সহায়তা কাযক্রমে অংশগ্রহণের ছোট্ট একটি ইচ্ছে থেকে আমরা ৫০ হাজার টাকা সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। তারপর আমাদের দেশী-বিদেশী সদস্য-শুভাকাংখীরা যেভাবে সহযোগিতা করলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় আটগুণ টাকা আমাদের সহায়তা তহবিলে জমা পড়েছে। এজন্যে আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
অর্থগ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ফাতেমা ইসরাত লুভনার মাতা মোছাম্মত শিরিন ও স্বামী মো. আবদুল আলিম বলেন, সাইক্লোনের তহবিলের মাধ্যমে আমরা যে অর্থ পেয়েছি, তার প্রতিদান আমরা দিতে পারবো না। আমার সবার জন্যে দোয়াই করবো।
Leave a Reply