সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে । সুরমা-কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । সিলেট সদর উপজেলা জালালাবাদ, হাটখোলা, খাদিমপাড়া, টুকেরবাজার, মোগলগাঁও ও কান্দিগাঁও ইউনিয়ন, খাদিম নগর ইউনিয়নের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলপ্লাবিত হয়েছে বন্যার উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বরষণে ।
একই সাথে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ,কোম্পানিগঞ্জ,কানাইঘাট,বিশ্বনাথ ও বিয়ানিবাজার উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে ।
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ ।ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানি ঢলে ডুবে গেছে বন্যা কবলিত এলাকার আঞ্চলিক রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি।স্কুল-কলেজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,মাছের খামার মসজিদ মাদ্রাসায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি ।
পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল।
বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিকাল ৩ টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে ভারী বরষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বন্যা কবলিত হয়ে।উপজেলার অর্ধেক জনপদ ডুবে গেছে পানির নীচে ।এসব বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট । উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল ৩৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত জনপদের পানিবন্দি মানুষ ।
বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের অভিযোগ, অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। ত্রাণের আশায় পথ চেয়ে থাকলেও দেখা মিলছে না কারও।
Leave a Reply