প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ হতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এঅঞ্চলের লাখো মানুষের জীবিকা সচলের দাবিতে পাথর ব্যবসায়ি-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এক সভা গতকাল ১৯শে আগস্ট বুধবার সিলেট নগরীর এক আবাসিক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
বিমান বন্দর থানা স্টোন ক্রাশার পাথর ব্যবসায়ি সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুন নূর। সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
এয়ারপোর্ট থানা পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সেক্রেটারি নূরুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক আতিকুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সেক্রেটারি আফতাব আলী কালা, সিলেট জেলা ট্রাক পিকাপ কাভাডভ্যন শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি আমির উদ্দিন।বিমান বন্দর থানা স্টোন ক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হাজী নাছির উদ্দিন, জাফলং পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি রহিম খাঁন, সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসেন, জাফলং স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বক্ত, সেক্রেটারি ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমবায় সমিতির সভাপতি ওয়াদুদ আলম, সেক্রেটারি সামসু মিয়া।
সভায় বক্তারা সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ বন্ধ থাকায় সেখানে জীবিকা নির্বাহকারী লাখো শ্রমিক ও পাথর ব্যবসায়িদের অর্বননীয় দূর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন- সিলেটের সিংহভাগ মানুষের জীবাকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের জনগন অবর্ননীয় দুঃখ কষ্টে নিপতিত হয়েছে। যুগ যুগ ধরে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহে পাথর আহরনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করলে ও কয়েক বছর ধরে পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের নির্মাণশিল্পের জন্য অপরিহার্য পর্যাপ্ত পাথর সিলেট কোয়ারীগুলোতে বিদ্যমান, তা স্বত্বেও একটি মহল বিদেশ থেকে পাথর আমদানির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে আসছে। অথচ স্থানীয় ভাবে পাথর আহরন করে তা নির্মাণশিল্পে ব্যবহার করলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার অপচয় থেকে বেশ রক্ষা পেত। ব্যক্তারা বলেন পাথর সংশ্লিষ্ট কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের হাহাকার এবং বেকার হয়ে পড়া এঅঞ্চলের হাজারো পাথর ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবন যাপনের এ করুণ অবস্থার অবসানে এঅঞ্চলের পাথর কোয়ারী সমূহ শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের জন্য খুলে দেয়া অপরিহার্য। বক্তারা অবিলম্বে সিলেটের পাথর কোয়ারী সমূহ সচল করে এঅঞ্চলের লাখো মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আহব্বান জানান।
সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাথর ব্যবসায়ি হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমদ সুমন, শাব্বির আহমদ, শাব্বির আহমদ ফয়েজ, সৈয়দ ছালেহ আহমদ শাহনাজ, শানুর মিয়া, আজির মিয়া, শওকত আলী বাবুল, জসিমুল ইসলাম আঙ্গুর, সামছুজ্জামান দোলন, তজব আলী, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, ছাতক পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হাজী জৈয়নাল উদ্দিন, সেক্রেটারি হাজী আবুল হাসান, মোলাগুল পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সেক্রেটারি আলতাফ হোসেন, বিছনা কান্দি পাথর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মাসুক আহমদ, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন, প্রমুখ।
সভায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকার পাথর সংশ্লিষ্ট জীবিকা নির্বাহকারী ব্যবসায়ি ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে “বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ি শ্রমিক ঐক্য পরিষদ” গঠন করা হয়। সংগঠনের আহবায়ক মনোনিত করা হয় কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুন নূরকে। যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে নাজিম উদ্দিন, গোলাম হাদী ছয়ফুল,ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, আবুল হাসান, হাজী নাছির উদ্দিন, আবু সরকার, গোলাম হোসেন, দেলওয়ার হোসেন, হাজী রফিকুল ইসলাম।
Leave a Reply