নেত্রকোনার গুমাই নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের ৯ নারী শিশুসহ ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। নিহতরা সবাই মধ্যনগর থানার ইনাতনগর গ্রামের বাসিন্দা। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সকালে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার ট্রলারঘাট থেকে ২৫/৩০ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারটি নেত্রকোনার ঠাকরকোনা উপজেলায় যাচ্ছিল। এ সময় ট্রলারের সমান্তরালে দুটি বাল্কহেড নৌকা বালি আনতে একই এলাকায় যাওয়ার পথে বাল্কহেড নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী নৌকাটি নদীতে তলিয়ে যায়। এসময় নৌকায় থাকা অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতার কেটে তীরে ওঠতে পারলেও ১১জন পাানিতে ডুবে মারা যান।
নিহতরা হলেন, টুম্পা আক্তার (৭), জাহিদ হাসান (২), মোজাহিদ মিয়া (৪) অনিক আহমদ জনি (৬), রাকিবুল হাসান (৩), সুলতানা বেগম (৪৫), হামিদা আক্তার (৫০), মাজেদা আক্তার (৫৫), লাকি আক্তার (৩১), লুৎফুন নাহার (২৬)। নিহতরা সবাই ইনাতনগর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, যে জায়গায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে এটি খুব গভীর। নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে। কলমাকান্দা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নিখোঁজদের সন্ধান করছে। তবে নদীর পাশে হলহলিয়া হাওরের একটি চ্যানেল থাকায় উদ্ধারকারীরা ধারণা করছেন কিছু লাশ হাওরের দিকে ভেসে যেতে পারে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। লাশ হস্তান্তর করা হবে। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, ধর্মপাশা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আবু তালেব ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, নৌকা ডুবির ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদায়ক। আমি খবর শুনে দিরাই উপজেলা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ নিহতদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা বাবদ নগদ ২০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা প্রদানের কথা জানান তিনি।
Leave a Reply