সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে বন্দী করে গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। সকালে এসএমপির শাহপরান থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী বধুর স্বামী।
মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে, অভিযুক্তদের ধরতে রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
অপরদিকে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন নেতাকর্মী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন।
এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয়। এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।
এরপর এমসি কলেজ হোস্টেলে অভিযান করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত এক ধর্ষকের বাসা থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উ দ্ধার করা হয়।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন,সাইফুর রহমানের রুম থেকে ১ টি পাইপগান, ৪ টি রামদা, ১ টি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস উদাধার করি।এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply