অবশেষে গ্রেপ্তার করা হলেন সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি তারেকুল ইসলাম। চুল দাড়ি কেটেও শেষ রক্ষা হলোনা ধর্ষক তারেকের। তারেককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই মামলার এজাহারভূক্ত সব আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনুল ও রাজন নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সামিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেককে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এই মামলার অন্য আসমিদের মধ্যে সোমবার রাত ১১ টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে এই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এর আগে রোববার সকালে ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও মাধবুপর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একই রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই রাতেই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. আইনুদ্দিন ও মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। এজাহারে নাম না থাকলেও এই ঘটনার পর থেকে আইনুদ্দিন ও রাজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনুদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে জানিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
Leave a Reply