এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইনুদ্দিন ওরফে আইনুলের সাথে ওই তরুণীর আগের পরিচয় ছিলো। ঘটনার দিন তাদের মোবাইল ফোন কথাও হয় এবং পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এমসি কলেজে দুজনের দেখাও হয়েছিলো বলে
আদালতের কাছে এ রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় আইনুদ্দিন।
এদিকে আলোচিত এ ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত আটজনের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রধান আসামী সাইফুর রহমানসহ ৬ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
শুক্রবার ও শনিবার সিলেটের সিএমএম-১ এর অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুল ইসলাম, সিএমএম কোর্ট- দুই ও তিনের বিচারক সাইফুর রহমান এবং শারমিন খানম নিলার আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ ছয় আসামী স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
এছাড়াও আজ রোববার চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রিমান্ডে থাকা আরো দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুম আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
সুত্র জানায়, শনিবার সিলেটের সিএমএম কোর্ট-২ এর বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুদ্দিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এসময় আইনুদ্দিন আদালতকে জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিলো। প্রায়ই তাদের দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয়। ঘটনার দিনও ফোনে কথা হয় এবং পরে বিকালে এমসি কলেজ ফটকে ওই তরুণীর সাথে দেখাও হয়েছিলো আইনুলের। এ সময় তার সাথে মামলার আরেক আসামী রাজনও ছিলো।
জবানবন্দিতে আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল আদালতকে আরো জানায়, ওই তরুণী স্বামীকে সাথে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে এমসি কলেজের সামনে এসেছিলেন। দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার পরে তরুণী তার স্বামীর সাথে গাড়িতে করে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এরমধ্যে সাইফুর রহমানসহ অন্যরা এসে হাজির হয়। এসময় তারা তরুণীকে ঘিরে রেখে জোরপূর্বক স্বামী-স্ত্রীকে গাড়িতে তুলে। এরপর তারেকুল ইসলাম তারেক দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে গাড়ির ভেতরে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়।
আইনুদ্দিন এসব তথ্য জানানোর পাশাপাশি জবানবন্দিতে পুরো ঘটনাটি আদালতকে জানায়।
ওইদিন আইনুদ্দিন ছাড়াও আরো দুই আসামী মাহবুবুর রহমান রনি ও মিসবাউর রহমান রাজন ১৬৪ ধারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ত।
Leave a Reply