‘গণধর্ষণ ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে আলেম
সমাজকে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে’
গণধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও দেশব্যাপী চলমান সামাজিক অবক্ষয় রোধে জাতির অন্যতম অভিভাবক আলেম সমাজকে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে উলামায়ে কেরামের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। তাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সামাজিক অবক্ষয় রোধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে আলেমগন হতে পারেন অতন্দ্র প্রহরী। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণে আলেমগন হতে পারেন আলোর দিশারী। দেশ ও জাতির যে কোন ক্রান্তিলগ্নে আলেমসমাজ অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে দেশব্যাপী গণধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই ক্রান্তিলগ্নে দেশের সকল স্তরের উলামায়ে কেরামগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ও হাফিজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীনের পরিচালনায় নগরীর একটি হলরুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণীর বেশ সংখ্যক আলেম অংশ নেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, শায়খ মামুনুর রশীদ আল মাদানী, হাফিজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী, মুফতী মাওলানা আলী হায়দার, মাওলানা ওলীউর রহমান সিরাজী, হাফিজ মাওলানা মোশাহিদ আহমদ, হাফিজ মাওলানা বদরুল হক, হাফিজ মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ, হাফিজ মাওলানা জিল্লুর রহমান, হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, হাফিজ মো: আব্দুল আহাদ, হাফিজ মাওলানা মুজিবুর রহমান ও হাফিজ আব্দুল হালিম প্রমূখ।
বৈঠকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধুকে গণধর্ষণ, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে গৃহবধুকে অমানুষিক যৌন নির্যাতন সহ দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এদের মদদদাতাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন বর্বর জঘন্য ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।
Leave a Reply