সিলেটের বিশ্বনাথে ডোবা থেকে রবিউল ইসলাম (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমান নগর গামের আকবর আলীর ছেলে এবং স্থানীয় গোয়াহরী লতিফিয়া ইর্শাদিয়া দাখিল মাদাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রীজের পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের শরীরে একাধিক আঘাত ও ক্ষতবিক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ধারনা কেউ তাঁকে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে গেছে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় সে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। তাঁকে না পেয়ে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করাসহ ওইদিন সন্ধায় বিশ্বনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয় এবং উপজেলার সকল স্থানে হারিয়েছে মর্মে মাইকিং করা হয়।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় রামপাশা-বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রিজের পাশের ডোবায় রবিউলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক কৃষক। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের পিতার অভিযোগ, তাঁহার ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার এসআই দেবাশীষ শর্মা সাংবাদিকদের জানান, ধারনা করা হচ্ছে কেউ তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রেখেছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাটানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply