সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির সদস্যরা রায়হানের বাড়িতে যান। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আয়ুবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা নগরীর আখালিয়ায় রায়হানের বাড়িতে যান। এ সময় রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান এআইজি মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, এসআই আকবর পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্ত করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই আমরা রায়হানের বাড়িতে এসেছি এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গ কথা বলেছি। দুই একদিনের মধ্যেই এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৪) নিহত হয়েছেন। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। তবে মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার থানার ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া পালিয়ে গেছেন। তার পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত আছেন কিনা তা তদন্ত করে বের করার জন্য কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।
Leave a Reply