কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সমন্বয় বাড়াতে সিলেটে ট্রাফিক পুলিশে যুক্ত হলো ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’। গতকাল মঙ্গলবার ‘ট্রাফিক পক্ষ’ শুরুর দিনে বিশেষ এই ক্যামেরা পেলেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ১০ জন সার্জন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্যকারী যানবাহন ও চালক শনাক্ত, দুর্ঘটনা, কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয় বাড়াতে সড়কে দায়িত্বরত পুলিশের অনিয়ম প্রতিরোধ ও তল্লাশি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে দেশে ২০১৪ সাল থেকে বডি ওর্ন ক্যামেরা চালু করা হয়। সিলেটে প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার এই ক্যামেরা পেলেন ১০ জন ট্রাফিক সার্জন। এর মাধ্যমে সেবা প্রদানকালীন ভিডিও, স্থিরচিত্র ও ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহ করা যাবে।
‘ট্রাফিক পক্ষ-২০২০’ উপলক্ষে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ‘ট্রাফিক পক্ষ-২০২০’ উদ্বোধন করেন মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবুল খয়েরের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগরের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বডুয়া, বিআরটিএ’র সিলেটের এডি ছানাউল হক, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আফজাল হোসেন, পেট্রোলিয়াম ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপশ দাস পুরকায়স্থ, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন সিলেট’র সভাপতি মামুন হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু, নিসচা সিলেট মহানগর কমিটি মহাসচিব আব্দুল হাদী পাভেলসহ সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনসাধারণের অংশগ্রহণে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে কাজী নজরুল ইসলাম চত্বর হয়ে রিকাবীবাজার পর্যন্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাফিক পক্ষ উপলক্ষে মহানগরের আম্বরখানা, মেন্দিবাগ, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, বন্দরবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ রোডে তোরণ নির্মাণ করা হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরের ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্লেকার্ড স্থাপন করা হয়েছে। নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মানতে উৎসাহিত করতে মহানগরের ৬টি পয়েন্টে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেকপোস্ট পরিচালনা এবং ২টি গাড়ির মাধ্যমে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে মহানগর এলাকায় দিনব্যাপী সচেতনতামূলক বার্তা ও মাইকিং করা হয়েছে।
এছাড়াও নগরের হুমায়ুন রশিদ চত্বর, আব্দুস সামাদ চত্বর, পীর হাবিবুর রহমান চত্বর, কামরান চত্বর, আম্বরখানা পয়েন্ট, চৌহাট্টা, নজরুল চত্বর, মদিনা মার্কেট, তেমুখী পয়েন্ট, টিলাগড় পয়েন্ট, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে প্লেকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও ট্রাফিক পক্ষ ২০২০ উপলক্ষে সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply