কলেজ ছাত্রীকে বাসের ভেতরে একাধিকবার চুলে ধরে টানাহেচড়া করে ধর্ষণেরচেষ্টা চালায় বাস চালক শহীদ। এসময় শহীদ ওই কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। তরুণী একাধিকবার বাঁচার জন্য চলন্ত বাস থেকে লাফ দেয়ার চেষ্টা করলেও দরজায় বন্ধ করে রাখেন হেলপার। এসময় শহীদ চুল ধরে বার বার ওই তরুণীকে বাসের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী বাসের গ্রীল ধরে দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে রাস্তা পড়ে যান। পরে দ্রুত গতিতে বাসটি নিয়ে যাওয়া হয় সুনামগঞ্জে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী পুলিশের কাছে এসব তথ্য জানায়।
এদিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় গাড়িচালক ও হেলপারকে হন্যে হয়ে খোঁজছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে ধর্ষণ মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তবে আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ এবার প্রযুক্তির সহযোগীতা নিচ্ছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বাস চালক ও হেলপারসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে দিরাই থানায় তরুণীর পিতা বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী বাস চালক শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোল্লারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহামন বলেন, দিরাই থানায় বাস চালক, হেলপারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একটি দল।
জানা যায়, শনিবার বিকালে সিলেট থেকে বাড়ী যাচ্ছিলেন ঐ কলেজ ছাত্রী। সিলেট দিরাই সড়কের সুজানগর এলাকায় বাসের সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার সুযোগে মেয়েটিকে একা পেয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাস চালক ও হেলপারসহ অন্যরা।
এ সময় মেয়েটি গাড়ি জানালা দিয়ে লাফ দিলে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত কলেজছাত্রীকে রাস্থার পাশে পরে থাকতে দেখে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় স্থানীয়রা। মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত ওই কলেজছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেয়েটি এখন সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
Leave a Reply