1. sylpe2019@gmail.com : Nongartv :
  2. regularmd@gmail.com : Suhag Rana : Suhag Rana
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

৮ নং ওয়ার্ড’র কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ করোনা জয়ী এক মানবিক যোদ্ধা

সাজন আহমদ সাজু
  • আপডেটের সময় সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
জনগণের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একজন মানবিক কাউন্সিলর কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ।
প্রথম সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ওয়ার্ডের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৮ নং ওয়ার্ডকে সবার জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ-পরিচ্ছন্ন আধুনিক ওয়ার্ডে রুপান্তর করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবেন-সকল লোভ-হিংসা-বিভেদ-বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে।
দল-মত ধর্ম-বর্ণ শ্রেণী বৈষম্য সব কিছু ভুলে তিনি হবেন সাধারণ জনতার কাউন্সিলর।
নিজের অমায়িক ব্যবহার-সততা আর বিশ্বাস দিয়ে সেদিন জয় করে নিয়েছিলেন ওয়ার্ডবাসীর মন।
পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছিলো ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে।
৮ নং ওয়ার্ডের মানুষ তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি নির্লোভ,নিরহংকারী ইলিয়াছুর রহমানকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সর্বাধিক ভোটে বিজয় মুকুট পড়িয়ে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছিলো,গড়ে তোলেছিলো জনগণ আর জনপ্রতিনিধির সেতুবন্ধন।
অন্যায়-অবিচার-জুলুম নির্যাতনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা ভোট দিয়ে শাসক নয় সেবক চায়।
অশুভ শক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষ তাদের ভরসার জায়গায় অর্পন করেছিলো পবিত্র আমানত।
মানুষের অফুরান ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কাউন্সিলর নবউদ্যমে নিজেকে বিলিয়ে দেন ৮ নং ওয়ার্ডকে বাস্তবিক অর্থে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন আধুনিক মডেল ওয়ার্ডে রুপান্তর করতে।
জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি একের পর উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মানুষের আস্থার প্রতিদান দেওয়া শুরু করেন ,পাল্টাতে থাকে একটি অবহেলিত-জরা-জীর্ণ উন্নয়ন বঞ্চিত এলার চিত্র।অন্ধকার বিভিষিকাময় পরিস্থিতি, মৃতপ্রায় ধ্বংসস্তুপে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেন অন্ধকারে আলোকবর্ষ হয়ে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা-ন্যায় বিচার নিশ্চিত-জলাবদ্ধতা নিরসন-ড্রেনেজ ব্যবস্থা,সড়ক প্রশস্তকরণ,অন্ধকার সড়কে আলোকবাতির ব্যবস্থা সবকিছুর সুফল ভোগ করতে থাকে ওয়ার্ডবাসী।
শুধু এইটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি নিন্ম আয়ের মানুষের ন্যায্য হক বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে যান লোভ-লালসা আর ব্যক্তি পছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে।কাউন্সিলর ইলিয়াছ কখনোই কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের নয় তিনি সার্বজনিনভাবে সেবা দিয়ে গেছেন মানুষকে।
তিনি যেমন উন্নয়ন করেছেন মুসলমানদের মসজিদে সমান্তরাল ভাবে উন্নয়নের ছোয়া দিয়ে গেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে।
মানুষের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমন্বয় ছিলো বলেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবারও ৮ নং ওয়ার্ডবাসী তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি সৎ-যোগ্য কর্মঠ ব্যক্তিটির হাতেই পূণরায় দায়িত্ব অর্পন করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যে ।
অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, পরাজিত শক্তির ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে সেদিনও মানুষ তাদের বিশ্বাস আর ভরসার জায়গা জনতার কাউন্সিলরের পাশে ছিলো।
লোভ-লালসা এমনকি পেশিশক্তিও টলাতে পারেনি উন্নয়ন প্রত্যাশী ৮ নং ওয়ার্ডের সর্বসাধারণকে।
২০১৮ সালের নির্বাচন অতীতের মতো স্বাভাবিক ছিলোনা একটি পক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পেশিশক্তি, অর্থ, আধিপত্য খাটিয়ে জনতার রায় ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করেছিলো কিন্তু ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে পরাজিত হয় জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জুলুমবাজরা।
সেইদিন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমে প্রকাশ পায় কিভাবে সেই অশুভ শক্তি  ভোট কেন্দ্র দখল করে পৈশাচিকতার পরিচয় দিয়েছিলো।
জনগণের রায়ের প্রতি যাদের আস্থা নেই এরা সেদিন জনগণের উপরও পাকড়াও হয়েছিলো প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে।
তীব্র  প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে-নিসংকোচে তাদের পবিত্র আমানত দিয়ে ২য় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত করে ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছকে।
মানুষ কর্মের স্বীকৃতি পেলে দায়বদ্ধতা বেড়ে যায় তাই হয়তো তিনিও মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতিদান দিতে দ্বিগুণ কর্মস্পৃহা নিয়ে ৮ নং ওয়ার্ডকে আরও আলোকিত করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েন।প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করতে থাকেন এই ওয়ার্ডবাসীর ঋণ আর অকৃত্রিম ভালোবাসা ।
মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান হৃদয়নুভুতি থেকেই প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মানুষের ভালোবাসার ঋণ শুধিতে।
যার ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রাক্কালে চিন্তিত হয়ে পড়েন নিজের আত্মার আত্মীয় প্রিয় ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে।নিজের ওয়ার্ডকে এই মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস যাতে বিপর্যস্ত করতে না পারে পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যমী হন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষের সুরক্ষা দিতে তৎপর হয়ে পড়েন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা [WHO] বাংলাদেশ সরকারকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয় ।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ২৬ শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে অফিস আদালত,স্কুল-কলেজ,সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, কল-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারী করলে কর্মহীন হয়ে পড়েন দিনমজুর-খেটে খাওয়া মানুষ।
সাময়িক বিপর্যয়ের সম্মুখীন এই সব দরিদ্র, শ্রমজীবী -মধ্যবিত্ত-নিন্মমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য সরকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় সিলেট সিটিতে ত্রাণ সহায়তা পাঠালে সেই ত্রাণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ নিজের স্বরব উপস্থিতিতে পরিচালিত করেন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত না হওয়ায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রাণের স্পন্দন ভালোবাসার মানুষদের সাহায্যে নিরন্তর কাজ করে গেছেন ।
করোনা মহামারীতে সকল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে মানবিক এই যোদ্ধা সাধারণ মানুষের প্রাপ্য হক সুষম বণ্ঠন করতে গিয়ে গত ৩১শে মে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নেন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ।
চিকিৎসাধীন থাকলেও নিজের কথা না ভেবে মানবিক এই মানুষটি কেবল ভেবেছেন নিজের পরম আত্মীয় এলাকার সাধারণ মানুষের কথা একদিনের জন্যেও থেমে থাকেনা উনার ত্রাণ সহায়তা ।
এলাকার মানুষকে নাগরিক সেবা থেকে এক মুহূর্তের জন্য বঞ্চিত না করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন বারবার।
মানবিকতার অনন্য উদাহরণ এই মানুষটির শারীরিক অসুস্থতা ব্যথিত করেছিলো পুরো ওয়ার্ডবাসীকে যার প্রমাণ তাঁর অসুস্থতার সংবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের দোয়া প্রার্থনা ।
একটি জরাজীর্ণ অবহেলিত ওয়ার্ডকে আধুনিকায়ন করে মানুষের হৃদয়ে যিনি বসতি করে নিয়েছেন,সাধারণ মানুষের সেবায় যিনি রাতবিরেত ছুটে বেড়ান ওয়ার্ডের অলিগলি তাঁর অসুস্থতার সংবাদে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পুরো ওয়ার্ডবাসী।অনেকেই নীরবে চোখের জল ফেলে প্রার্থনা করেন স্রষ্টার কাছে তাদের প্রিয় মানুষের  জন্য।
মানুষের বিশ্বাস ছিলো তাদের প্রিয় কাউন্সিলর আল্লাহর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন জনতার কাউন্সিলর জনতার দোয়াতেই আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন।
মহান সৃষ্টিকর্তার অপার দয়ায় সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালোবাসা আর প্রাণখোলা দোয়া তাদের প্রিয় কাউন্সিলরকে আবার মানুষের কল্যাণে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই যেনো মানুষের হৃদয়স্পর্শী দোয়াতে দ্রুত উনাকে সুস্থ করে দেন ৮ নং ওয়ার্ডের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে মানুষের স্বপ্নপূরণ করতে।
কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ একজন আপাদমস্তক সাদা মনের মানুষ হিসেবেই সমাদৃত সবার কাছে,একজন ভালো মানুষ হতে যে যে গুণ থাকা দরকার তার সবই বিদ্দমান তাঁর মাঝে, সৎ-কর্মঠ নিরহংকারী-নির্লোভ এই মানুষ
মানবতার কল্যাণে নিরন্তর ছুটে চলেছেন জনগনের আমানতের যথাযথ মূল্যায়ন করতে ।
আর্ত মানবতার কল্যাণে জনগণ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি,লোভ তাকে স্পর্শ করেনা বলেই মানুষ তাকে মানবিক কাউন্সিলর বলেই সম্বোধন করে।
আমৃত্যু মানবতার জন্য কাজ করার ব্রত নিয়ে তিনিও  উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন দৃপ্ত প্রত্যয়ে।
মানুষের জন্য তিনি নিজের সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য,পরিবার পরিজন সবকিছু ভুলে সাধারন মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন বলেই হয়তো মানুষ অনুধাবন করে একজন ইলিয়াছুর রহমানের বিকল্প কেবল তিনি নিজেই ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2020 Nongartv.com . Design & Development by PAPRHI
Theme Customization By Freelancer Zone