১২ জুলাই মালালার জন্মদিন। তাঁর সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দিয়ে এই দিনটিকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। ২৫ জন কৃতী কিশোরীদের নিয়ে পরিকল্পিত এই সঙ্কলনটির কথা ঘোষণা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে এই দিনটিকেই। প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের স্কুলশিক্ষায় উৎসাহ দেওয়ার ভাবনা নিয়েই ‘মালালা ফান্ড’ শুরু করেছেন মালালা। সংগঠনের ডিজিটাল মুখপত্র ‘অ্যাসেম্বলি’-র সম্পাদক টেস টমাসের কথায়, যে-সব কিশোরীরা সামাজিক বৈষম্য কিংবা সাম্প্রদায়িক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে শিক্ষার অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করছে, তাদের কাহিনি তুলে ধরা হবে এই সঙ্কলনে। সাম্য এবং শিক্ষা সম্পর্কিত তাঁদের নিজেদের লেখা প্রতিবেদনও থাকবে সেখানে। এখনও পর্যন্ত সঙ্কলনটির নাম ঠিক না হলেও জানানো হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যেই প্রকাশিত হবে।
বইটির সম্পাদক অনন্যা বর্গোহেনে বলছেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে ওই ২৫ জন কিশোরীর গল্প অনেককে শুধু সাহসই জোগাবে না, শিক্ষা সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যের হদিসও পাওয়া যাবে এই বইয়ে।
শিক্ষার অধিকারের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর তালিবানের রোষের মুখে পড়ে গুলিতে জখম হন মালালা। যদিও ওই ঘটনা তাকে দমাতে পারেনি, বরং তিনি লড়াইয়ে ফিরেছিলেন দ্বিগুণ উদ্যমে। গত মাসেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি নিয়ে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন তিনি। যদিও এর অনেক আগে থেকেই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধকে সম্মান জানিয়ে একের পর এক পুরস্কার এসে পড়েছে তাঁর ঝুলিতে। ছোটবেলা থেকেই শিশু অধিকার নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। যাঁর স্বীকৃতি হিসেবে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন এবং কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছেন। গত বছর ‘দ্য মোস্ট ফেমাস টিনেজার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ উপাধিতেও মালালাকে ভূষিত করা হয়েছে।
Leave a Reply