সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৫২৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৬৮ জনের। তৃতীয় স্থানে উঠে আসা ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৯ জন। প্রাণ হারিয়েছে ২৫ হাজার ১০১ জন।
এছাড়া চতুর্থ স্থানে নেমে যাওয়া রাশিয়ায় করোনায় ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৯৭ জন আক্রান্ত ও ১১ হাজার ৯৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চম স্থানে থাকা পেরুতে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১২ হাজার ৪১২ জন।
করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজার ৬১২ জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজার ৬৩৪ জন। দেশটিতে করোনার সংক্রমণ থমকে গেলেও সম্প্রতি ফের আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে।
এদিকে করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Leave a Reply