আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকারের এই মেয়াদেই বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে পঁচাত্তরের খুনিদের মতো ২১ আগস্টের খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে মাটি ভিজেছিলো। সেই মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজেছিল পঁচাত্তরে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সেই মাটি ভিজেছিলো। তাদের টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের বুলেট ২০০৪ সালে ফিরে আসে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হয়ে। নেতাকর্মীরা নেত্রীর সুরক্ষায় গড়ে তোলেন মানবঢাল। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সবই করেছিল চারদলীয় জোট সরকার। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে করা হয় এক সদস্যের কমিশন। সে কমিশন হাস্যকরভাবে হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করে। এভাবেই বিচারব্যবস্থাকে তারা প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালায়। ইতিহাস বড় নির্মম। ঐতিহাসিক রায় হয়েছে, এখন উচ্চ আদালতে রয়েছে আপিল নিষ্পত্তির আশায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পথের বাধা এক এক করে অপসারিত হচ্ছে। দেশের ভাগ্য বদলের ম্যাজিকাল ট্রান্সফর্মেশন হচ্ছে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে-বিদেশে গুজব, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে পঁচাত্তরে দেশে হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি শুরু হয়। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে শেখ হাসিনা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন। দেশে সততা ও ত্যাগের প্রতীক বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন, বিশ্বে বিরল।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
Leave a Reply