জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য সরকার সবকিছু করছে। কোনো আইন করেই শহীদ জিয়ার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকারের ইতিহাস জানে।
বৃহস্পতিবার হেলসিংকিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফিনল্যান্ড বিএনপি নেতা মবিন মোহাম্মদ এসব কথা বলেন।
মোকলেসুর রহমান চপল বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম বিভিন্ন জায়গা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এখন যেসব সরকারি লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বইয়ে জিয়ার নাম রয়েছে, সেগুলোও খুঁজে বের করে পুড়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন থেকে কারো নাম মুছে ফেলা যায় না।
সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রুবেল ভূঁইয়া বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা ‘দলকানা’। সেসব বুদ্ধিজীবীরা জিয়ার ভালো কিছুই খুঁজে পান না। সরকার তাদের লালনপালন করে।
বিএনপি নেতা জামান সরকার বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন। তিনি শুধু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই নন, একজন সফল রাষ্ট্রপতি। তিনি রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক।
সামসুল গাজী বলেন, দেশে এখন সঙ্কটকাল চলছে। এই সঙ্কট ইতিহাস বিকৃতির সঙ্কট। তবে তরুণ প্রজন্মের কর্মকাণ্ড যদি দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে যায়, সঙ্কট অবশ্যই কেটে যাবে।
‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ফিনল্যান্ড বিএনপি নেতা বরুম মনির ফেরদৌস বলেন প্রাণঘাতী করোনা নিয়ে সরকার এখনো উদাসীন। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর আবোল-তাবোল বক্তব্যে জনগণ হতাশ।
প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, এখনো করোনায় মৃত্যুর হার ও শনাক্তের হার বাড়ছে। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, বাংলাদেশে করোনা নেই। কোনো ভ্যাকসিনেরও প্রয়োজন নেই। সত্যিকারার্থে সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতো তাহলে দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারতেন না।
এতে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে ‘ক্রান্তিকাল চলছে’ তা আর বলতে চাই না। কেননা ক্রান্তিকাল চলছে বলতে বলতে ক্রান্তি আমাদের পেয়ে বসেছে। বাংলাদেশ নামক দেশের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জিয়ার নাম জড়িত। কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, তাপস খান, মিজানুর রহমান মিঠু, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুর রহমান সাইফ, সাহিন মোহাম্মদ, সাজ্জাদ মুন্না, নিজাম উদ্দিন, মীর সেলিম, সবুজ খান, মনিরুল ইসলাম, মোজাহের, মারুফ প্রমুখ।
Leave a Reply