এই সময়ে ২ হাজার ৭৪৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০৫ জন এবং মোট সুস্থ ১ লাখ ১৭ হাজার ২০২ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৭৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পূর্বের নমুনাসহ ১২ হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৭৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ২৫৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ১২ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ২ হাজার ৭৫১ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০৫ জন এ পর্যন্ত সুস্থ ১ লাখ ১৭ হাজার ২০২ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, বয়স বিভাজনে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন এবং ৮১-৯০ বছরের একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩৭ জন এবং বাড়িতে ৫ জন মারা গেছেন।
ডা. নাসিমা আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় ৩ জন করে এবং রংপুর ও বরিশালে ২ জন করে মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৩৪১ জন, চট্টগ্রামে ৬৯৬ জন, রাজশাহী ১৫২, খুলনায় ১৮১ জন, বরিশালে ১০২ জন, রংপুরে ৯৩, সিলেটে ১২৮ এবং ময়মনসিংহে ৫৮ জন মারা গেছেন।
এদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৮১২ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৫১ লাখ সাত হাজার ৩২৭ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৭ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬৩ হাজার ৬৩৪ জন (১ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯১ লাখ ২৮ হাজার ১৫৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
Leave a Reply