সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এসএমপির কতোয়ালী মডেল থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম।
তিনি জানান, সকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রায়হান আহমদের মারা যাওয়া ঘটনায় হওয়া মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে রায়হান হত্যা মামলা দায়ের পর বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকে বরখাস্ত করেছে পুলিশ। এরপর থেকেই আকবর হোসেন লাপাত্তা রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিন করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এরপর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস।
একই সাথে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হল, এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।
এদিকে রোববার দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply