ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। তবে উত্তেজনা কমাতে পূর্ব লাদাখের চুসুল-মলডো সীমান্তে বৈঠকে বসেছিল দু’দেশ। কিন্তু বৈঠকে সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। তবে পিছিয়ে নেই ভারতও। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখছে নয়াদিল্লি।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে তিব্বতে দু’টি চীনা সেনার ডিভিশন মোতায়েন করা ছিল। এবার মূল চীনা ভূখণ্ডের সুদূর প্রান্ত থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের সফর শেষে এসে পৌঁছেছে আরও দু’টি চীনা ডিভিশন। দ্রুত গতিতে সীমান্তে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এদের সঙ্গে রয়েছে সাঁজোয়া গাড়ির সম্ভার ও হামলা চালানোর জন্য ভারি হাতিয়ার। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে জিনজিয়াং প্রদেশেও একটি ডিভিশন (১০ থেকে ১২ হাজার সেনা সদস্য) তৈরি রেখেছে চীনা বাহিনী। নির্দেশ পেলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে উপস্থিত হবে চীনা ডিভিশনটি।
এদিকে, চীনা গতিবিধির ওপর নজর রেখে তৈরি ভারতও। পূর্ব লাদাখে অতিরিক্ত দু’টি ডিভিশন মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাশাপাশি দৌলত বেগ ওলডিতে মোতায়েন থাকা ‘আরমরড ব্রিগেড’কে মদত দিতে তড়িঘড়ি করে বিমানবাহিনীর পণ্যবাহী বিমানে উড়িয়ে আনা হয়েছে বিএমপি-২ ও টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংকও।
শুধু তাই নয়, কারাকোরাম গিরিপথ থেকে গালওয়ান উপত্যকায় চীনের যুদ্ধ প্রস্তুতি নজরে রেখে আর একটি ডিভিশন মোতায়েন করার কথাও ভাবছে ভারত। বর্তমানে পূর্ব লাদখের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে কারু স্থিত ‘ত্রিশূল ইনফ্যান্টরি ডিভিশন’র হাতে।
উত্তেজনা কমাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও আগ্রাসন থামছে না চীনের। এবার ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে উপগ্রহ থেকে তোলা চিত্রে সাফ দেখা গেছে লাদাখে প্যাংগং লেকের ধরে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। ফিঙ্গার ৪ থেকে আর ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে দিচ্ছে না চীনারা। ফিঙ্গার ৪ নামক সীমান্ত পর্যন্ত এসে নির্মাণ কাজও শুরু করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
Leave a Reply