ড. গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছরখানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম বলে দাবি গিলবার্টের।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টিকার সুরক্ষার মেয়াদ নিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট। তিনি জানান, এই প্রতিষেধক এক বছর পর্যন্ত করোনার থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ ড. সারা গিলবার্ট অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের তৈরি করোনার টিকা বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। শরীরের সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতার চেয়ে অনেকটাই শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে পারবে অক্সফোর্ডের এই প্রতিষেধক।
ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। টিকাটি উৎপাদনের কাজ শুরু হবে ব্রাজিলেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, ইংল্যান্ডের ১০ হাজার এবং ব্রাজিলে অন্তত দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই টিকার অন্তিম পর্বের হিউম্যান ট্রায়াল হবে। তবে সব কিছুর আগে প্রতিষেধকের সুরক্ষার বিষয়টিতেই জোর দিয়েছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তাঁরা।
Leave a Reply