স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে তার প্রথম জানাজা হয়।
নয়াপল্টনে জানাজা শেষে মরদেহ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাবুর লাশ নিয়ে আসা হয়। কফিন বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজার আগে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলেন। অসংখ্য নেতাকর্মী সারা দেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে। দলের অঙ্গসংগঠনের মধ্যে এ ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখাপড়া জানা নিবেদিতপ্রাণ নেতা খুব কম আছে। বাবুকে হারিয়ে আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।’
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম, জামায়াতের মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, রামগতি ইয়ুথ ফোরামের নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
নয়াপল্টনে জানাজা শেষে মরদেহ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবু (৫১)।
Leave a Reply