মোবাইল দেওয়ার কথা বলে দিনমজুরের শিশুকন্যার (৬) উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে এক বখাটে। গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্জন ঘরে তাকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানোর পর আইনের আশ্রয় না নিতে নির্যাতিতার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে বখাটের স্বজনরা। তবে গত শুক্রবার রাতে শিশুকন্যার বাবা ও মা তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও শিশুকন্যার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের এক দিনমজুরের ৬ বছর বয়সী শিশুকন্যা বাড়িতে খেলছিল। এ সময় পাশের বাড়ির রতীশ মজুমদারের বখাটে ছেলে জুয়েল মজমুদার (১৮) ওই শিশুকন্যাকে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে পাশের একটি নির্জন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় জুয়েল। শিশুটির কান্নায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে জুয়েল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুকন্যার মা-বাবা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে বখাটের স্বজনরা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের আটকে রাখে। শুক্রবার সকালে তারা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার শারীরিক পরীক্ষা করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নির্যাতিতা শিশুকন্যার মামা নরেশ তালুকদার বলেন, ‘বখাটে জুয়েল আমার ভাগ্নির সর্বনাশ করেছে। তারা আইনি আশ্রয় বা চিকিৎসা নিতেও দেয়নি। গতকাল (শুক্রবার) আমরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসেছি। এখন বখাটে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুরঞ্জিত সরকার বলেন, ‘গত মঙ্গলবার শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে আজ (শনিবার) আমরা জানতে পেরেছি। এর আগে কেউ আমাদের এ বিষয়ে অবগত করেনি। আজ খবর পেয়ে আমি ও আমার ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
Leave a Reply