নানা আলোচনা, সমালোচনা, যোজন-বিয়োজন বিতর্ক পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেলো সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ। কাউন্সিলের প্রায় ১৩মাস পর শুক্রবার রাতে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক জেলা ও মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিকে কমিটি ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গোটা সিলেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কৌতূহল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেখার পর নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের অধীর আগ্রহের অবসান ঘটেছে ।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে। ওই সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। জেলার সভাপতি হয়েছিলেন এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান। মহানগরের সভাপতি হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। সম্মেলনের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও করোনার কারণে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এরপর নানা আলোচনা সমালোচনা, বিতর্কের কারণে প্রস্তুত হয়েও অনুমোদন পায়নি জেলা ও মহানগর কমিটি। সবর্শেষ গেল সপ্তাহে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিলেটের চার শীর্ষ নেতাকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় টীম। তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় বিতর্কিত কিছু নাম। এর স্থলে যোগ হয় কিছু নতুন পুরাতন মুখ। আর এভাবেই প্রস্তুত করার পর অনুমোদন পায় ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ।

জেলা কমিটিতে স্থান পেলেন যারা : সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী এমপি, আশফাক আহমদ, এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড. আহমদ আল কবির, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সা’দ উদ্দিন, এডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী ও নাজনীন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: নাসির উদ্দিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল ও কবীর উদ্দিন আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো: মবশির আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন, দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী রইছ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ হীরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার মিনু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, শিক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকিব আহমদ (শাহিন), সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল ও এডভোকেট রনজিৎ সরকার, উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: মতিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, সদস্য এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ইমরান আহমদ এমপি, লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মো: ইব্রাহিম, হাজী আব্দুল হাসিব মনিয়া, মোস্তাকুর রহমান মফুর, মো: নিজাম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, আবু জাহেদ, আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহাদাৎ রহিম, আবদাল মিয়া, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আক্তার, শহিদুর রহমান শাহিন, আনহার মিয়া, আব্দুল বাছিত টুটুল, নুরে আলম সিরাজী, কামাল আহমদ, এম.কে শফি চৌধুরী এলিম, আব্দুল বারী, আবু হেনা চৌধুরী ফিরোজ আলী. আমাতোজ জহুরা রওশন জেবিন, জাকির হোসেন, এডভোকেট আফসর আহমদ, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, এডভোকেট মনসুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিদুর রহমান চৌধুরী, হাজী আবুল লেইছ চৌধুরী, গোলাপ মিয়া ও ডা: নাজরা আহমদ চৌধুরী।

মহানগর কমিটিতে স্থান পেলেন যারা : সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি এডভোকেট মফুর আলী, আসাদ উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি এম জেড কয়েছ গাজী, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, মো: সানাওর, হেলাল বক্স ও জগদিশ চন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ ও বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দফতর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহি উদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা আহমদ (সাবেক কাউন্সিলর), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. জোবের খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. হোসেন রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম ও ডা. আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দফতর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী রণি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী।

সদস্যরা হলেন-, ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি, আজম খান (কাউন্সিলর), এস এম আবজাদ হোসেন আমজাদ, দিবাকর ধর রাম, আবদুল আহাদ চৌধুরী মিরণ, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, মো. আবদুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, শান্তনু দত্ত সন্তু, আজম খান (মজুমদারী), মো. শাহজাহান, মোক্তার খান, এড. জাহিদ সরওয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দে, সাব্বীর খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমদ, রোকসানা পারভিন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, লিপন বক্স (কাউন্সিলর), জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জি. আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম সুপা, এড. তারান্নুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক (কাউন্সিলর), মাহফুজ চৌধুরী জয় ও ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল।