শনিবার বিকালে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়ালে বৈঠকে নেতারা এমন মতামত তুলে ধরেন।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যের মতামত একই।
শুধুমাত্র একজন সদস্যের বক্তব্যে অস্পষ্টতা ছিল। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক চলে।
এতে নিজ নিজ বাসা থেকে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৈঠকে অংশ নেয়া স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, করোনা পরিস্থিতির পরে বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কী হবে তা নিয়েই মূলত সবাই বক্তব্য দিয়েছেন। সবাই একমত হন, আগামীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটিই হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। এ সময় কমিটি গঠনে অতীতে ভুলত্রুটি নিয়েও কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি খসড়া চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও এ বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, বৈঠকে কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আরো বিস্তারিত পরে আলোচনা হবে। বৈঠকে চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের সবাইকে সতর্ক থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
Leave a Reply