পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে দেশবাসীকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান-২০২০ এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে এক কোটি চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যেখানে আপনার যতটুকু জায়গা আছে, আপনি যা পারেন একটা গাছ লাগান। অথবা যারা শহরে থাকেন, ছাদে বাগান করেন বা ব্যালকনিতে একটা টবে গাছ লাগান। যেভাবে হোক একটু গাছ লাগালে ভালোও লাগবে, মনটাও ভালো লাগবে আর আপনার নিজের সচ্ছলতাও আসবে। আর নিজের হাতে লাগানো একটা গাছের কাঁচামরিচ খেলেও কিন্তু ভালো লাগবে।
কাজেই আমি আহ্বান করব সবাইকে আসুন সবাই মিলে গাছ লাগাই। আমাদের দেশটা একটা ব-দ্বীপ। এই দেশটাকে আমরা রক্ষা করে দেশটাকে উন্নত করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছি শুরু থেকেই যে তিনটা গাছ লাগাতে হবে। একটা ফলের গাছ, একটা কাঠের জন্য যেটা আর্থিক স্বচ্ছলতা আনবে আরেকটা ভেষজ গাছ, অর্থাৎ যেই গাছ থেকে নানা ধরনের ওষুধ সৃষ্টি হয় বা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই ধরনের গাছ।
এদিন গণভবন চত্বরে প্রধানমন্ত্রী চালতা, তেঁতুল এবং ছাতিয়ানের চারা রোপণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কাঠ হিসেবে ছাতিয়ান এবং খাদ্যগুণ বিবেচনায় তেঁতুল ও চালতা গাছের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
সারাদেশে কোটি গাছের চারা রোপণ কার্যক্রমের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারা বাংলাদেশে যাতে করে আমাদের বনায়ন এবং সবুজ বেষ্টনির সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে বৃক্ষরোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কাজেই তারই স্মরণে আজকে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা এইটা প্রতিবছরই নিচ্ছি।
পরিবেশ রক্ষার জন্য বাংলাদেশে বনায়ন সৃষ্টি একান্তভাবে প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৭ ভাগ আমাদের বনায়ন ছিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৯৮৪ সালের পর থেকে সারাদেশে বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চুরাশি থেকে শুরু করে আমরা প্রতিবছর পহেলা আষাঢ় সমগ্র বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণ করি, সেটা আমাদের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের উপর দায়িত্ব থাকে। কৃষক লীগ সমগ্র বাংলাদেশে এই উদ্যোগটা নেয় এবং আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন মিলেই আমরা বৃক্ষরোপণ করি।
“আমরা মনে করি আমাদের দেশটার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা দরকার। পাশাপাশি আমাদের দেশের মানুষের পুষ্টির দরকার। কাজেই আমরা তাদের খাদ্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করেও কিন্তু বৃক্ষরোপণ করি।
Leave a Reply