পাঁচ দিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফের অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম প্রধান মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে অভিযান শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘মূলত কিছু নথিপত্র আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেছে দুদক টিম।
এর আগে গত ১৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ও করোনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারটেকিংসহ (এমওইউ) সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করে তারা।
ওই অভিযানের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করে দুদক টিম। অভিযানকালে অনেক নথিপত্র মিলেনি। প্রাথমিকভাবে নথি যাচাই-বাছাইয়ে কাগজপত্রের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। লাইসেন্সের কপি পেলেও ছিল না নবায়ন কিংবা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট অনেক বিভাগের অনুমোদন। এমনকি কোভিড-১৯ এর এমওইউ এর কাগজপত্রেও অসঙ্গতি পাওয়া যায়।
সাহেদের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। ৩ জুলাই অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়।
Leave a Reply